পোড়া কাপড় ভিজেছে সর্বস্বান্ত হওয়া ব্যবসায়ীদের চোখের জলে

ওকে নিউজ স্পেশাল জনদুর্ভোগ প্রচ্ছদ মুক্তমত লাইফ স্টাইল হ্যালোআড্ডা

আগুনে পুড়ে কয়লা হয়েছে পলিব্যাগে মোড়ানো নতুন নতুন কাপড়ের বান্ডিল। মঙ্গলবার যে কাপড় দাউ দাউ আগুনে পুড়ছিল তা পানি দিয়ে নিভিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আর গতকাল সে পুড়া কাপড় ভিজেছে সর্বস্বান্ত হওয়া ব্যবসায়ীদের চোখের জলে। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করে যখন অনেক ব্যবসায়ী নিজের পোড়া স্বপ্নকে হাতড়াচ্ছিলেন তখন অনেকেই তাদের সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। রমজান মাসের এই সময়টা বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা দম ফেলার সময় পেতেন না। ব্যবসায়ী, ক্রেতা, কর্মচারীদের হাঁকডাকে যে বাজার জমজমাট থাকতো অথচ এখন সেখানে হাহাকার। অশ্রুসিক্ত, সর্বহারা ব্যবসায়ীরা এখন ঋণের বোঝা আর খেয়ে-পরে কীভাবে বাঁচবেন সেটি নিয়ে চিন্তিত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, যে ক্ষতি হয়েছে সেটি আগামী ৫ বছরে কাটিয়ে ওঠা যাবে না। তাই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তাদের প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা। নগদ টাকা ও বিনা সুদে ব্যাংক ঋণ দিলে হয়তো তারা কিছুটা হলেও ঋণ শোধ করে নতুন করে ভাবতে পারবেন। না হলে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক ব্যবসায়ীকে ঢাকা ছেড়ে যেতে হবে।

সরজমিন দেখা যায়, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের দুু’দিন পার হলেও এখনো পুরোপুরি নিভেনি আগুন। ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন ধোঁয়া উড়ছে। কোথাও কোথাও ছোট পরিসরে আগুন দেখা গেছে। এসবের মধ্যেও ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে গিয়ে পুড়ে যাওয়া কাপড়ের স্তূপ সরিয়ে দেখছেন অক্ষত অবস্থায় কিছু পাওয়া যায় কিনা। পোড়া কাপড়ের নিচ থেকে বান্ডিল করা কাপড় বের হলেও সেগুলোর কোনো না কোনো অংশ পোড়া থাকায় সেগুলো নিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। নিজ নিজ দোকানের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কর্মচারীরাও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলেন। তবে স্থানীয় টোকাই, ভবঘুরে, মাদকসেবী ও আশপাশের বিভিন্ন কলোনীর বাসিন্দারা পুড়ে যাওয়া টিন, লোহার ফ্রেম, পুড়ে যাওয়া ক্যাশ বাক্স, দোকানের শাটারসহ মূল্যবান অনেক কিছু নিয়ে যাচ্ছেন। কিছু মানুষ কম পুড়ে যাওয়া শাড়ি, লুঙ্গি, প্যান্ট, টি-শার্ট, জামা বের করে ব্যাগে ঢুকাচ্ছিলেন। অনেক ব্যবসায়ী আশপাশের ভবনে থাকা গোডাউনে থাকা অক্ষত পোশাক বস্তা ভরে সরাচ্ছিলেন। অনেক ব্যবসায়ী ও তাদের স্ত্রী-সন্তানরা পুড়ে যাওয়া দোকানের উপর দাঁড়িয়ে কান্না করছিলেন। ঘটনার দিনের মতো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, স্বেচ্ছাসেবী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সরকারের মন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

রাফা গার্মেন্টসের মালিক ফারুক বলেন, আমার শুধু দোকানের কাপড়ই পুড়েনি। প্রায় ২ লাখ টাকার মতো নগদ টাকা ক্যাশে রেখে এসেছিলাম। সবকিছু পুড়ে গেছে। চোখের জল ছাড়া কিছুই নাই আমার কাছে। আমরা বাঁচতে চাই। ঘুরে দাঁড়াতে চাই। সরকারি সহযোগিতা আমাদের খুব বেশি প্রয়োজন। ব্যবসায়ী দিদার মিয়া বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমার নিজের জমি বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা লোন তুলে বিনিয়োগ করেছি। আমার ৩টি দোকানের পোশাক পুড়ে ছাই হয়েছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকবো নাকি ব্যাংকের লোন পরিশোধ করবো সেটি ভেবে পাচ্ছি না। এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের এখন বিনাসুদে ব্যাংক লোন দেয়া হোক। প্রয়োজনে এখানেই তাঁবু টানিয়ে ঈদ পর্যন্ত ব্যবসার সুযোগ দিলে গুদামে যাদের পোশাক আছে তারা কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। বঙ্গ কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, দোকানের সব পোশাক পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের জন্য ব্যাংক থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো ঋণ নিয়েছি। এখন আমার মাথা ঘুরাচ্ছে। মাথার উপর এত বড় ঋণের বোঝা কীভাবে সামাল দেবো। নূর আলম বলেন, ৪টি দোকানের মালিক আমি। দু’টি ইসলামপুরে আর দু’টি বঙ্গবাজারে। ব্যাংক লোন, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে এক মাসের জন্য টাকা এনে বিনিয়োগ করেছিলাম। বঙ্গবাজারের দু’টি দোকান থেকে একটি কাপড়ও উদ্ধার করতে পারিনি। শুধু গুদামে অল্প কিছু কাপড় আছে। ঈদের আগে এত বড় লোকসানে পড়বো কখনো কল্পনা করিনি। ব্যবসায়ী গফুর আলী বলেন, পুরাতন নতুন মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার কাপড় পুড়ে ছাই। ঈদকে সামনে রেখে কতো স্বপ্ন ছিল। সব শেষ হয়ে গেল। আমার মতো আরও কতো ব্যবসায়ীর লোকসান হয়েছে তার হিসাব নাই। ব্যবসা গুছাবো না-কি খেয়ে-দেয়ে বাসা ভাড়া দিয়ে বেঁচে থাকবো সেটা নিয়েই ভাবছি। আল্লাহ আমাদের এত বড় পরীক্ষা নিচ্ছেন। জাকির মোল্লা বলেন, ঋণ-ধার করে দোকানে বিনিয়োগ করেছি। দোকান তো পুড়েনি, পুড়েছে আমার কপাল। রহমানিয়া ফ্যাশনের মালিক আজাদ বলেন, কোটি টাকার মতো কাপড় ছিল। এ সময়টা আমরা বেশি করে বিনিয়োগ করি। কারণ ঈদে বেচাকেনা ভালো হয়। ৪টি বস্তার কাপড় বাঁচাতে পেরেছি। বাকি সব পুড়ে গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, সিটি করপোরেশন দীর্ঘদিন ধরে উঠেপড়ে লেগেছে ভবন নির্মাণের জন্য। একাধিকবার ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়ার কথা বলেছিল। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টে রিট করে উচ্ছেদ স্থগিত করেছে। আরাফাত শাড়ি হাউসের মো. বিল্লাল বলেন, আগুন লাগানো হয়েছে।

এদিকে, বঙ্গবাজারে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপাপড়া কাপড় থেকে এখনো ধোঁয়া উড়ছে। ব্যবসায়ীদের চোখ থেকে জল পড়ছে। তাদেরকে কেউ সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবাজারের ধ্বংসস্তূপে ১০ তলা ভবন নির্মাণের আলোচনা শুরু হয়েছে। বলা হয়েছে পাইকারি বাজারের কথা চিন্তা করে এখানে ভবন নির্মাণ করা হবে। যাতে করে অনেক ব্যবসায়ী একই ভবনে ব্যবসা করতে পারেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস গতকাল খিলগাঁও এলাকায় ‘গোড়ান খেলার মাঠ’-এর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, বঙ্গবাজারে পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন করে পাইকারি মার্কেট নির্মাণ করা হবে। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসবো। তারা কীভাবে চায় তা জানবো। প্রধানমন্ত্রীকেও আমরা ভবনের নকশাটি দেখাবো। এটা পাইকারি বাজার। এটাকে পাইকারি মার্কেট হিসেবেই তৈরি করবো। যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাদেরকে নতুন ভবনে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তাদেরই আগে পুনর্বাসিত করা হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবাজারে আমাদের বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা আগেই ছিল। মামলার কারণে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা এখন বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। কিছুদিন সময় দিতে হবে। মানবিক দিক বিবেচনা করে তারা যাতে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করবো। তারপর তারা যাতে সেখানে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সেজন্য আমরা নতুন একটি পরিকল্পনা নিয়ে তাদের সঙ্গে বসবো। সেটা নিশ্চিত করার পরেই আমরা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করবো। এ সময় সাংবাদিকরা মেয়রকে প্রশ্ন করেন অগ্নিকান্ডটি কোনো ধরনের পরিকল্পিত নাশকতা কি-না? জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এটি একটি দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তারপরও এটি কোথা থেকে শুরু হয়েছে এবং কীভাবে শুরু হয়েছে তা তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।

এদিকে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটি যাতে আধুনিক ও নিরাপদ মার্কেট হতে পারে সিটি করপোরেশন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন টেন্ডারও করেছিল। একজন কন্ট্রাক্টও করেছিল। তারপর ব্যবসায়ীদের অনুরোধে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেন। বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সিটি করপোরেশন যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ সকল মার্কেট চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফায়ার সার্ভিস যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেছে কিংবা করবে সেগুলো যেন ব্যবসায়ীরা পরিত্যাগ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৬টা ১০ মিনিটে যখন আগুন লাগে তার দুই-তিন মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। কিন্তু চোখের সামনে আগুন নিমিষেই প্রসারিত হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের এক্সপার্ট কর্মকর্তারা এলেও নানান কারণে তারা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন। পাশে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আগুন লেগেছিল। কিছু ক্ষতি পুলিশ হেডকোয়ার্টারেও হয়েছে। কিন্তু আগুনে ৪টি মার্কেট সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। দু’টি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরেকটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়েছে।

ওদিকে, গতকালও বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করেছে। দু’দিনেও কেন আগুন নিয়ন্ত্রণ হয়নি জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বঙ্গবাজারের বেশির ভাগ দোকান ছিল কাঠের ফ্রেমের। আগুনে কাঠের ফ্রেম পুড়ে ৩ তলার কাঠামো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। দোকানের শাটার, চালাসহ বেশকিছু কাঠামো লোহার ছিল। এসব লোহার অংশের নিচে চাপা পড়ে যায় আধাপোড়া কাপড়। চাপা পড়া কাপড়ে কোথাও কোথাও আগুন জ্বলছে, কিছু অংশে শুধু ধোঁয়া হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আগুনের প্রকৃত সোর্স আমরা এখনো খুঁজে বের করতে পারিনি। মালামাল বের করে আনার কারণে এখনো কোথাও একটু একটু আগুন জ্বলছে, ধোঁয়া হচ্ছে। আগুন সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে পুরোপুরি নির্বাপণ করতে পারিনি। তিনি বলেন, স্পটে এখনো ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট কাজ করছে। আমাদের পানির স্বল্পতা রয়েছে। পর্যাপ্ত পানি কাছাকাছি না পাওয়ার কারণেও আগুন নির্বাপণ করতে দেরি হচ্ছে, তবে আমরা আশা করি দ্রুত আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে পারবো। অ্যানেক্সকো টাওয়ারের বিভিন্ন পিলারে ফাটল ধরেছে। রাজউক এবং তাদের ইঞ্জিনিয়ারদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, তাদের অনুমতি ছাড়া পুনরায় ভবনে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করা যাবে না।

বুধবার বিকালে মেয়র তাপসের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেটের নেতারা সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় ব্যবসায়ীদের বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পারেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন। পাশাপাশি আমরাও আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অনুদান দেবো। সেজন্য আমরা যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি, আপনারা তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী শনিবারের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করুন। আমরা আপনাদের পাশেই আছি। ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তালিকা প্রণয়নে যাতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর বাইরে অন্য কারও নাম না আসে, সেজন্য আপনারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করুন। আমাদের কমিটিকে সহায়তা করুন। তালিকায় দোকানের প্রকৃত মালিক, মালিকের মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংযুক্ত করবেন। আর দোকান যদি ভাড়া দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে মালিকের পাশাপাশি ভাড়াটিয়ার নাম, মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংযুক্ত করবেন। তালিকা প্রস্তুত সাপেক্ষে আগামী রোববার আবারো ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান মেয়র।

আরো পড়ুন : সাগরের প্রাণী ললিতা ৫০ বছর ‘বন্দী’ থাকার পর আবার সাগরেই ফিরছে

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *