চাঁদপুর প্রতিনিধি: ফরিদগঞ্জে অনিয়ন্ত্রিত লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। চলমান এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহের ফিডারে ১০/১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না। দিনে রাতে অসংখ্যবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি বিকল হয়ে পড়ছে। মুদি দোকান, পোলট্রি শিল্পে লোকসান গুনতে হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি ও প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকগুলোতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
ডা. দেলোয়ার, ব্যবসায়ী শাহজাহান ব্যাপারী, শিক্ষক নূরে আলম টুটুলসহ স্থানীয় গ্রাহকরা জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি খুবই খারাপ। দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ৫ নম্বর ফিডারে সর্বসাকুল্যে ৮/৯ দাপে পাঁচ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাইনি। একই অবস্থা অপরাপর ফিডারগুলোতেও বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, মাঝেমধ্যে লোডশেডিং হয়। তবে বেশির ভাগ সময়ই বিদ্যুৎ থাকে। ঝড় ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অনেক সময় সমস্যা হয়ে থাকে। সাব স্টেশন স্থাপনের জন্য প্রজেক্ট এসেছে। জমি প্রাপ্তি সাপেক্ষে অন্তত দুটি সাব স্টেশন স্থাপন করা হবে। তাহলে লোডশেডিং সমস্যা আর থাকবে না। এদিকে একই উপজেলার অন্য অংশে কামতা সাব স্টেশনের এজিএম মো. ইন্তেসার ইমন জানান, প্রাপ্তির চেয়ে চাহিদা কম হওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। দিনের বেলায় পাঁচ-ছয় মেগাওয়াট পাচ্ছি আর সন্ধ্যা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। জ্বালানিসংকটে এ সমস্যা হলেও আশা করি আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে সমস্যা কেটে যাবে। এখানে সাব স্টেশন ও ফিডার ক্যাপাসিটি পর্যাপ্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরো পড়ুন : ভ্রমণপ্রেমী মানুষের অনন্যঠিকানা এখন শরীয়তপুরের পদ্মাপাড়