বন্যাকবলিত এলাকার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৮ নির্দেশনা

ওকে নিউজ স্পেশাল জাতীয় তথ্য-প্রযুক্তি প্রচ্ছদ লাইফ স্টাইল স্বাস্থ্য কথা হ্যালোআড্ডা

বন্যাকবলিত এলাকার জন্য আট নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এতে সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় চিকিৎসা সরঞ্জাম, চিকিৎসক-নার্সদের কর্মস্থলে থাকা, অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা এবং স্থানীয় প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় ও যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এসব তথ্য জানানো হয়।
নির্দেশগুলো হলো- ১. বন্যাকবলিত এলাকার সব সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু রাখতে হবে।
২. প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ মেডিক্যাল টিম গঠন করে দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে হবে।
৩. বন্যাকবলিত এলাকায় প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি ডায়রিয়া, সর্প দংশনসহ বন্যা-সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য যথোপযুক্ত প্রস্তুতি রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, অ্যান্টি ভেনম ইত্যাদি মজুত রাখতে হবে।
৪) বন্যাদুর্গত হাসপাতালগুলোয় সব ধরনের যন্ত্রপাতি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য উঁচু স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।
৫. জরুরি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী মজুত এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীসহ অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে হবে।
৬. বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর সব চিকিৎসক, নার্সসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।
৭. স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য বন্যাদুর্গত এলাকার সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হলো।
৮. বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ কর্তৃক গঠিত কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় ও যোগাযোগ রাখতে হবে।

আরো পড়ুন : বাধ্যতামূলক অবসর দিল দুই অতিরিক্ত আইজিপি ও এক ডিআইজিকে

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *