ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। পাহাড়ধস ও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব অঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে খাবারসহ নানা সংকটে দিন পার করছে মানুষ।
এদিকে বন্যাক্রান্ত মানুষদের উদ্ধারে মোতায়েন করা হয়েছে সেনা বাহিনী। চট্টগ্রামের মীরসরাই, কুমিল্লার বুড়িচং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বন্যার্তদের উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে বাহিনীটি। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশন, ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যগণ নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন হয়ে নিরলসভাবে পানিবন্দি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া, ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে সেনাবাহিনীর পাঁচটি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সহায়তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যগণ ফেনী জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে মোতায়েন রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বন্যা কবলিত জেলাসমূহে এ পর্যন্ত আনুমানিক ছয় হাজার বন্যা দুর্গত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে প্রেরণ করেছে। পাশাপাশি বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্য বিতরণ চলমান রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্যান্য ফরমেশনসমূহ নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে এবং অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
সেনাবাহিনী প্রধান বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জাতির আস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
আরো পড়ুন : নৌবাহিনী উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছে ফেনীর বন্যার্তদের