বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো ব্রেইন ডেড মানুষের কিডনি অন্য মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। মৃত ঘোষণা করা ৩৮ বছর বয়সি একজন পুরুষের কিডনি দুজন কিডনি আক্রান্ত মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আরেকটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।
এদিন রাত সাড়ে ৮টায় কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয়। অস্ত্রোপচারে সময় লাগবে সাড়ে চার ঘণ্টার মতো।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতি এমন একটি পদ্ধতিতে ক্লিনিক্যালি ডেড বা ব্রেইন ডেড রোগীর কিডনি নিয়ে অন্য রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ কিডনিদাতা এবং গ্রহীতাদের বিস্তারিত পরিচয় দেননি।
তিনি জানান, ৩৮ বছরের একজন পুরুষকে বৃহস্পতিবার ব্রেইন ডেড ঘোষণা করা হয়। তিনি মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
‘পাঁচদিন আগে আমাদের হাসপাতালে আসেন তিনি। তিনি পুরোপুরি অজ্ঞান ছিলেন। এর আগেও তিনি আমাদের আইসিইউতে ছিলেন। চিকিৎসায় ভালো হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। এবারও পাঁচদিন ছিলেন। আজকে আমরা তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেছি।’
গত বছরের ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউতে প্রথমবারের মতো একজন মৃত মানুষের শরীর থেকে কিডনি নিয়ে তা অপর দুজনের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।
সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে ১৮ জানুয়ারি ‘ব্রেইন ডেড’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতেই তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুজন নারীর শরীরে। সারাহর চোখের কর্নিয়া দেওয়া হয় অপর দুজনকে।
সেই কিডনি নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে আছেন শামীমা আক্তার নামে এক নারী। তবে অন্যজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরো পড়ুন : ঝালকাঠীর ইসলামিক মিশন হাসপাতাল কমপ্লেক্স পরিদর্শনে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব