নীলফামারী প্রতিনিধি : বিচারবহির্ভূত সকল গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ। পালিয়ে কেউ পার পাবেন না। দেশকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে হবে। বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকার গোলাম রব্বানীর মতো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। লাখ লাখ মানুষকে নির্যাতন করেছে। আমরা আর চাই না গোলাম রব্বানীর মতো কেউ মৃত্যুবরণ করুক। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বিকালে নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুবাছরী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে রামগঞ্জ ট্র্যাজিডির শিকার বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানীর পরিবারের কাছে নবনির্মিত বাড়ির চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। আমরা বিএনপি পরিবার আয়োজিত এ জনসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, রংপুর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, জেলা বিএনপি সভাপতি আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম প্রমুখ। আমরা বিএনপি পরিবার আহ্বায়ক আতিকুল রহমান রুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেলে তার দোসররা রয়ে গেছে। তারা দেশের ভেতরে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিভিন্ন দলের ভেতরে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু দেশের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের মানুষ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও সামনে এখন বড় যুদ্ধ। যে অধিকার আদায়ে রব্বানীদের মতো হাজার হাজার রব্বানী জীবন দিয়েছেন, তাদের সেই অধিকার আদায়ে সকলকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তারেক রহমান। সমাবেশে নীলফামারী, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার ১২ শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা ছাড়াও গোলাম রব্বানীর পরিবারের কাছে নতুন বাড়ির চাবি তুলে দেয়া হয়। এসময় গোলাম রব্বানীর কন্যা সুমি পিতা হত্যার বিচার চেয়ে কান্নাজড়িত বক্তব্য হাজার হাজার মানুষকে আবেগআপ্লুত করে তোলে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৪ই ডিসেম্বর রামগঞ্জ ট্র্যাজিডি পরবর্তী সময়ে বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানী, আতিক, মহিদুল ইসলাম ও আবু বক্কর সিদ্দিককে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা রাতের আঁধারে বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে নিয়ে যান। পরবর্তীতে তাদের লাশ নীলফামারী- সৈয়দপুর সড়কের লক্ষ্মীচাপ এলাকায়, সৈয়দপুর-দিনাজপুর বাইপাস সড়কের ধারে এবং বগুড়া জেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় গোলাম রব্বানীর স্ত্রী মোছা: শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে নীলফামারী-২ আসনের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান নূর, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান আবুজার রহমান ও শাহিদ মাহমুদসহ ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে গত ১৫ই সেপ্টেম্বর নীলফামারী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। যার নং ৪৫১/২০২৪। এ মামলায় আসাদুজ্জামান নূর পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
আরো পড়ুন : রাতের ঢাকা এখন ভয়ংকর