ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ ভোলাহাটে সম্প্রতি চরম ভাবে বিদ্যুতের লোডসেডিং দেখা দেয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনরাত ২৪ ঘন্টায় ৩০/৩৫ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যুৎ গ্রহকেরা। বিদ্যুতের ভেল্কীবাজিতে মানুষের বাড়ীতে থাকা ফ্রিজ ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ বিকল হতে শুরু করেছে। ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও প্রানিসম্পদেফ্রিজে রাখাঔষধ নষ্ট হওয়ার উপক্রম। সব মিলিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে নরক পুরিতে পরিনত হয়েছে ভোলাহাট উপজেলা। এদিকে ভোলাহাট পল্লী বিদ্যুৎ নামের ফেইসবুক পেইজে ভোলাহাট পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ পোস্ট করেন, জাতীয় গ্রীড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হঠাৎ কমে যাওয়ায় টানা লোডসেডিং এবং ফ্রিকোয়েন্সী ডাউনের কারণে ঢাকা থেকে বার বার স্ক্যাডার মাধ্যমে ৩৩ কেভি মেইন লাইন কাটার ফলে ভোলাহাট পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ পেয়েছে অত্যন্ত কম। ধারণা করেন, কয়েকটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্লান্ট বসে যাওয়ায় ও তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণে তেল চালিত পাউয়ার প্লান্টগুলো জেনারেশনে না আসার কারণে প্রচন্ড বিদ্যুৎ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংকটের ব্যাপারে ভোলাহাট পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস কোন রুপ সর্তকবার্তা না পাওয়ায় ভোলাহাটবাসিকেও কোস সর্তক বার্তা দিতে পারেনি বলা হয় পেইজটিতে। পেইজে আরো বলা হয়, জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতিতে কিছুই করার থাকে না বলে জনদূর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয়। তবেঅভিযোগ রয়েছে, জাতীয় গ্রেডের কথা বলা হলেও উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে না। আবার কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ মোটামোটি সরবরাহ থাকায় পল্লী বিদ্যুতের বক্তব্যের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় গ্রাহকেরা। ভোলাহাট পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মোঃ জুবায়ের আহমেদ বলেন, ভোলাহাটে ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
উল্লেখ্য ভোলাহাটে চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে পল্লী বিদ্যুতের অদক্ষতার কথা উল্লেখ করে গ্রাহকেরা বলেন, দেশে সর্বপ্রথম শতভাগ বিদ্যুাতায়নের উপজেলা ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরও এতোটা বিদ্যুৎ বিভ্রাট শতভাগ বিদ্যুতায়নের উপজেলায় এটা কাম্যনা না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভুগি গ্রহকেরা।
গোলাম কবির-ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)
আরো পড়ুন : গোমস্তাপুরে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ