যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী চীনের ভিন্নমতাবলম্বী ইউয়ানজুন তাং-এর (৬৭) বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের মামলা করেছেন মার্কিন প্রসিকিউটররা। তারা দাবি করেছেন, ওই ব্যক্তি বেইজিংয়ের গোয়েন্দা সংস্থার একজন এজেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তাকে বুধবার নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চীনা গণতান্ত্রিক কর্মী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাধারণ নাগরিক ইউয়ানজুন তাং। তিনি এফবিআইয়ের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। মার্কিন আইন মন্ত্রণালয় বলেছে, চীনের অনিবন্ধিত একজন এজেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন তাং। একই সঙ্গে তিনি গোয়েন্দাগিরি করছিলেন। মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন এফবিআই’কে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তিনি চীনের বেসামরিক মুখ্য গোয়েন্দা সংস্থা- মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটির (এমএসএস) নির্দেশে চীনের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি নিয়মিতভাবে ইমেইল, এনক্রিপ্টেড চ্যাট এবং অন্যান্য মাধ্যমে এজেন্সি থেকে নিয়মিতভাবে নির্দেশনা পেতেন। সেই নির্দেশনামতো কাজ করে তিনি এমএসএস গোয়েন্দার একজন কর্মকর্তার কাছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও গ্রুপ সম্পর্কে রিপোর্ট পাঠাতেন। এমএমএস গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুখোমুখি মিটিং করতে তিনি কমপক্ষে তিনবার চীন সফর করেছেন। চীনের বিপুল পরিমাণ ভিন্ন মতাবলম্বীর ব্যবহৃত এনক্রিপ্টেড ম্যাসেজ অ্যাপ্লিকেশনে গ্রুপ চ্যাটে তিনি এমএসএসকে প্রবেশ করতে সহায়তা করেছেন। তার পরিবারের বাকি সদস্যরা চীনে বসবাস করেন। তাদেরকে দেখার নাম করে তিনি চীন সফরে গিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে মিলিত হতেন। আদালতের ডকুমেন্ট অনুযায়ী, চীন সরকারের বিরোধিতা করার কারণে তাং’কে চীনে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে তিয়ানানমেন স্কয়ারে প্রতিবাদ বিক্ষোভের সময় তিনি চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছিলেন বলে জেল দেয়া হয়েছিল। ২০০২ সালে তিনি স্বপক্ষ ত্যাগ করে তাইওয়ানে পৌঁছাতে সক্ষম হন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় পান।
আরো পড়ুন : দালাইলামার সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তাদের বৈঠকের কারণে চরম উদ্বেগে চীন