ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও ক্ষোভ থেকে বাবুর পরিকল্পনায় সাংবাদিক নাদিমকে হত্যা

অনুসন্ধানী ক্রাইম নিউজ তথ্য-প্রযুক্তি পুরুষ পুরুষ অধিকার পুরুষ নির্যাতন প্রচ্ছদ হ্যালোআড্ডা

ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও ক্ষোভ থেকে সাংবাদিক নাদিমকে উচিত শিক্ষা দিতে হত্যার পরিকল্পনা করে চেয়ারম্যান বাবু। ঘটনার দিন পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বাবুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন। আর ঘটনাস্থলের পাশে থেকে হত্যার নির্দেশনা দেন বাবু।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন।

তিনি বলেন, জামালপুরে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে (৫০) পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া তার সহযোগী মনিরুজ্জামান মনির মনিরুল (৩৫), জাকিরুল ইসলাম (৩১) ও রেজাউল করিমকেও (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে শনিবার বিকেলে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া থেকে রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয় পঞ্চগড় থেকে।

খন্দকার আল মইন বলেন, গ্রেপ্তার রেজাউল, মনির ও জাকির চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান বাবুর সন্ত্রাসী গ্রুপের অন্যতম সদস্য। রেজাউল দৌড়ে গিয়ে সাংবাদিক নাদিমকে ধাক্কা দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয়। এরপর বাবুর নির্দেশে তারা নাদিমকে বেদম প্রহার করতে থাকে। এক পর্যায়ে পাশের একটি অন্ধকার গলিতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় এবং এলোপাতাড়ি আঘাত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তাদের বিরুদ্ধে জামালপুরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

এর আগে শনিবার ভোরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি থেকে চেয়ারম্যান বাবুসহ তিনজনকে আটক করে র‍্যাব।

এদিকে, হত্যার ঘটনায় সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম শনিবার বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় বাবুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুর নানা অপকর্ম নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন বাংলানিউজ ও একাত্তর টিভির সাংবাদিক নাদিম।

সংবাদ প্রকাশের জেরে ময়মনসিংহ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে নাদিমের বিরুদ্ধে মামলাও করেন চেয়ারম্যান বাবু। আদালত ওই মামলা খারিজ করে দেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গত ১৪ জুন রাতে নাদিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। চেয়ারম্যান বাবু ও তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাত হামলার নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সাংবাদিক নাদিমের।

আরো পড়ুন : ঝালকাঠি সদরের পরমহল গ্রামে অগ্নিকাণ্ডে বিজিবি সদস্যের বসত ঘর ভস্মীভূত

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *