আগেই জানা গিয়েছিল, এবারের বড়দিনটি হাসপাতালেই কাটবে ব্রাজিল কিংবদন্তি পেলের। কাটলও তাই। তবে বিছানা থেকে উঠে বসার সামর্থ্য যার নেই, তার বড়দিনটা কেমন কাটল—এমন প্রশ্নটাই অবান্তর। ৮২ বছর বয়সি পেলের জীবনে এখন আর উৎসবের দিন বলে কিছু নেই। সব দিনই দুঃখের, অতি কষ্টের। তবে সেই বিছানাকাতরতার মধ্যেও হয়তো বড়দিন উপলক্ষ্যে অন্দরে একটা বিশেষ সুখতৃপ্তি অনুভব করেছেন ব্রাজিল কিংবদন্তি। বড়দিনকে সামনে রেখে তার ছেলেমেয়েসহ পরিবারের অনেক সদস্যই যে হাজির হয়েছিলেন হাসপাতালে। ভালোবাসা, শুভকামনা জানিয়েছেন বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে। কেউ কেউ বা বিছানায় বসে জড়িয়ে ধরে আদর করেছেন, ছবি তুলেছেন। পেলের ছেলে এবং মেয়ে বড়দিন সামনে রেখে আবেগঘন বার্তাও দেন।
পেলের ছেলে ৫২ বছর বয়সি এডিনহো বর্তমানে ফুটবলের কোচিং পেশায় ব্যস্ত। সিরিবিএর দল লন্ডরিনার কোচ তিনি। নিজের কাজ সেরে গত শুক্রবার তিনি হাসপাতালে বাবাকে দেখতে গিয়েছিলেন। পেলের দুই মেয়ে কেলি ক্রিস্টিনা নাসিমন্তো ও ফ্লাভিয়া আরান্তেস আগে থেকেই হাসপাতালে বাবার পাশে রয়েছেন। পরশু ছেলে এডিনহো ও মেয়ে কেলি-ফ্লাভিয়াদের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাদের সত্-মা মার্সিয়া আওকিও। পেলের দুই মেয়ে সব সময়ই বাবার সঙ্গে রয়েছেন। হাসপাতালে অসুস্থত বাবাকে সুস্থ করে তোলার জন্য সবকিছুই করে যাচ্ছেন তারা। অসুস্থ বাবার শারীরিক অবস্থার খবরাখবরও তারাই দিচ্ছেন বিশ্ববাসীকে।
পরশু হাসপাতালে গিয়ে বাবার সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন এডিনহো। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগঘন একটা পোস্ট দিয়েছেন তিনি। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বাবা…আমার শক্তি তোমারাই।’ পরে এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, ‘আমি বাবার পাশে থাকতে চাই। পাশাপাশি আমার কর্তব্যের প্রতিও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি ডাক্তার নই। কাজেই এই অবস্থায় বাবাকে খুব বেশি সাহায্য করার ক্ষমতা আমার নেই।’
হাসপাতালে উপস্থিত পরিবারের সব সদস্যের একটা ছবি পোস্ট করে ৫৫ বছর বয়সি কেলি লিখেছেন, ‘পরিবারের প্রায় সবাই একসঙ্গে। শুভ বড়দিন। কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা, সম্মিলন, পরিবার-বড়দিনের সারমর্ম তো এটাই। আপনাদের পাঠানো সব ভালোবাসা এবং আলোর জন্য ধন্যবাদ।’
আরো পড়ুন : বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র: অভিযোগ রাশিয়ার