ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ভাগনারের ১০ হাজার সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। ভাগনারপ্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন মঙ্গলবার এ তথ্য জানান।
ইউক্রেনে নিহত এসব ভাগনার সেনা কারাগারে বন্দী ছিলেন। ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার বিভিন্ন কারাগার থেকে তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল। যুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য বন্দীদের রাজি করাতে গত বছর রাশিয়ার কারাগারগুলো ঘুরে বেড়ান প্রিগোশিন। এ সময় তিনি তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেন, যুদ্ধ শেষে বেঁচে থাকলে তারাঁ সাধারণ ক্ষমা পাবেন।
মঙ্গলবার ইয়েভজেনি প্রিগোশিনের সাক্ষাৎকারের এক ভিডিও প্রকাশ পায়। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি ৫০ হাজার বন্দী নিয়ে এসেছিলাম। তাঁদের প্রায় ২০ শতাংশ নিহত হয়েছেন।’
প্রিগোশিন আরও জানান, এ ছাড়া যাঁরা ভাগনারের সঙ্গে চুক্তিতে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেও সমসংখ্যক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা জানাননি তিনি।
গত শনিবার ভাগনার ও রাশিয়ার নিয়মিত সেনারা দাবি করেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত দখলে নিয়েছেন তাঁরা। তবে কিয়েভের দাবি, এখনো শহরটির একাংশ ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির সেনারা শহরের উপকণ্ঠের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন বলেও জানায় কিয়েভ। ইউক্রেন যুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী লড়াই হয়েছে বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে।
কিন্তু ইউক্রেনের দাবি উড়িয়ে দিয়ে ভাগনারপ্রধান প্রিগোশিন বলেছেন, তাঁর সেনারা বৃহস্পতিবার শহরটির নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার নিয়মিত সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর শুরু করবেন।
এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে প্রিগোশিনের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। তবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ নিয়ে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সমালোচন করতে দেখা যায় তাঁকে।
বাখমুতে ভাগনার সেনাদের জন্য পর্যাপ্ত গোলাবারুদ সরবরাহ না করায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে অযোগ্য বলে অভিহিত করেন প্রিগোশিন।