গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: বেশ কয়েকদিন ভারতীয় একটি হরিণ চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। কেউ বলছে পথ ভূল করে এসেছে,কেউ বলছে খাবারের খোঁজে সীমান্ত অতিরিক্ত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। বড় আকৃতির হরিণটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছে ওই এলাকায়। অনেকে ধরার চেষ্টা করলে সীমান্তের কাঁটাতার সংলগ্ন স্থানে পৌঁছে যাচ্ছে সে। এদিকে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে হরিণটি ভারতীয় পোষা (পালিত)।
স্থানীয়রা জানায়, বেশ কয়েকদিন থেকে সীমান্তের কাঁটাতার সংলগ্ন ভারতীয় অভ্যন্তরে একটি হরিণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। গত সোমবার সকাল থেকে সেই হরিণ বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম ভবানিপুর, শিবরামপুর, আনারপুর এলাকায় ধানের জমিসহ আশেপাশে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। হরিণতে দেখতে এলাকার লোকজন ছুটে যাচ্ছে। কেউ কাছে গেলে পালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে ধারণা করছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কাঁটাতার দরজা খুলার সময় অথবা পানি সাঁতার কেটে চলে এসেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, শুনছি ভারতীয় একটি হরিণ আমাদের এলাকায় ঘুরাফেরা করছে। সকালে তিনি হরিণকে তাঁর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় দেখেছেন। তবে মাঠের জমিতে চলাচল করছে। ক্ষতি কারো করেনা। কেউ এগিয়ে গেলে পালিয়ে যাচ্ছে।
বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা ওই এলাকার প্রধান শিক্ষক মাসারুল হক জিকেন বলেন, অনেকে হরিণকে ধরার চেষ্টা করবে। তবে মাইকিং করে সতর্ক করা উচিত বলে তিনি জানান।
বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও ওই এলাকার সংরক্ষিত নারী সদস্য জুলেখা বেগম বলেন, কাল (সোমবার) হরিণটি দেখা গেছে। এরপর আর হরিণটি খোঁজ নেই বলে তিনি জানান। তবে মঙ্গলবার হরিণ টিকে পুনরায় দেখা গেছে।
গোমস্তাপুর উপজেলা বনবিভাগে অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও স্যার মোবাইল ফোনে বিষয়টি বলেছেন। পরে তিনি রাজশাহীস্থ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।
রাজশাহী বনবিভাগের বন্যপ্রাণি পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, তিনি বগুড়াতে অবস্থান করছেন। তাই ওই এলাকায় যেতে পারছেন না। তবে হরিণটিকে কেউ বিরক্ত না করতে নিধেষ করেন। খাবারে সন্ধানে বা পথে ভূল করে সীমান্ত অতিক্রম করে চলে আসতে পারে। তবে তিনি জানান এই হরিণটি ভারতীয় পোষা (পালিত) কারো হতে পারে।
গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহিত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আতিকুল ইসলাম আজম