ভালোবাসাই নিঃস্বার্থভাবে সবচেয়ে বড় শিক্ষক-: জয়া আহসান

তথ্য-প্রযুক্তি প্রচ্ছদ বিনোদন বিনোদন অন্যান্য মনোকথা

বিনোদন প্রতিবেদক : দিনপঞ্জির হিসাবে বসন্ত তখনো শুরু হয়নি। এর মধ্যে বাসন্তী শাড়িতে ছবি পোস্ট করে আলোচনায় এলেন জয়া আহসান। ভক্তরা লিখলেন, জয়ার মনে বসন্তের দোলা। আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে জয়া নিজেই লিখলেন, ভালোবাসা প্রতিদিনের। তারপরেও বিশেষ দিনটা ভালোবাসার জন্য মন্দ নয়। এই ভালোবাসাই পৃথিবী থেকে সব সংশয় দূর করবে। সবশেষে তাঁদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানালেন এই অভিনেত্রী।

জয়া লিখেছেন, ‘কাল ছিল বসন্তের শুরু। আজ ভ্যালেন্টাইন। ভালোবাসার সঙ্গে রাখি বেঁধে রাখা দুটি দিন। কোনো একটি দিনেই সরবে ঘোষণা দিয়ে ভালোবাসার কথা হয়তো বড্ডই অকিঞ্চিৎকর। ভালোবাসা তো চির বসন্তের মতো সব সময়েই আমাদের মনে জাগিয়ে রাখার কথা। সেটাই সংগত।

তবু হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী!’

জয়া মনে করেন, ভালোবাসা শুধু নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসা দিয়ে যাওয়া। সেই ভালোবাসা দেওয়ার মধ্যেই আনন্দ নিহিত। এই প্রসঙ্গে দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী লিখেছেন,, ‘ভালোবাসার মধ্যে আছে কাউকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার আনন্দ। এই যে নিজের চেয়ে আরেকজনকে বড় করে ভাবা, আরেকজনের আনন্দের মধ্যে নিজের আনন্দকে পাওয়া, আরেকজনকে দিয়ে নিঃশেষ হয়েও নিজেকে পূর্ণ বলে অনুভব করা-ভালোবাসাই তো সেটা দিতে পারে। ভালোবাসাই নিঃস্বার্থভাবে সবচেয়ে বড় শিক্ষক।’

ভালোবাসা এই পৃথিবী থেকে সব বেদনা ক্লান্তি দূর করতে পারে। ভালোবাসা পারে পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী করতে। সেই ভালোবাসা শেখার কথা বলেছেন জয়া। যে ভালোবাসায় পৃথিবীর বেদনার বড় ছায়াটা সরে যায়।

তিনি লিখেছেন, ‘ফুটপাতে যে বৃদ্ধাটা রাতের বেলা শীতে কাঁপছে, তাঁর জন্য ভালোবাসা; বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত যে কিশোরীটি ঘরের কোণে আত্মহত্যায় উদ্যত, তাঁর জন্য ভালোবাসা; ভূমিকম্পের তুরস্কে মা-বাবাকে হারানো যে সদ্যোজাত শিশুটি ভগ্নস্তূপ থেকে উদ্ধার পেল, তাঁর জন্য ভালোবাসা; মন্দির চূর্ণ করে দেওয়ার পর সেখানে মাথা ঠুকছেন যে পূজারি, তাঁর জন্য ভালোবাসা। আমরা ভালোবাসি।’

আরো পড়ুন : মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দেবেন ফারদিনের বাবা

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *