মাদারীপুর প্রতিনিধি : অন্যায়-অনিয়ম ও ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় একেরপর এক প্রশংসিত হচ্ছেন মাদারীপুরের ডিসি । তারই বাস্তব উদাহরণ মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখা। বিগত ডিসিদের সময়ে মানুষের মুখে এলএ শাখা সম্পর্কে ছিল নানান অভিযোগ। এদিকে পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে সরকারের শত শত কোটি টাকার স্বার্থ রক্ষা পাওয়ায় মাদারীপুরের বর্তমান জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের সাংসদ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।
চিফ হুইপ জাতীয় সংসদের প্যাডে লেখা পত্রের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের প্রতি এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। চিঠিতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ রক্ষা পাওয়ায় মধ্যস্বত্বভোগী ও দালালদের দৌরাত্ম্য হ্রাস পাবে বলে চিফ হুইপ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে চিফ হুইপ ও সংসদীয় আসনের জনগণ জেলা প্রশাসনের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন করায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
গত ২৭ জুলাই ড. রহিমা খাতুন জেলা প্রশাসক হিসাবে মাদারীপুরে যোগদান করেন। যোগদান করার কিছুদিন পর তিনি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা- কর্মচারী ও উপজেলার ইউএনওসহ একাধিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি সবাইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিগত দিনের ডিসি সাহেবরা যেভাবে চালিয়েছে আমি একটু ব্যতিক্রম চালাব। কারণ আমি নিজে দুর্নীতি করব না অন্যকে দুর্নীতি করতে দিব না। এর পর থেকে পাল্টে যেতে শুরু করে ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখাসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ইতিমধ্যে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনসহ জেলা প্রশাসকের কর্মকর্তারা পদ্মা সেতু নদী শাসনে ভূমি অধিগ্রহণের সরকারের প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা রক্ষা ও ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে অনিয়ম প্রতিহত করে। তারই স্বীকৃতস্বরূপ ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পান জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও তার দল।
রবিবার মাদারীপুর ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখা ঘুরে দেখা যায়, অন্যায়-অনিয়ম, ঘুষ-দুর্নীতি রুখতে কঠোর ব্যবস্থাসহ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তৃতীয় তলায় ফ্লোরম্যাপ, প্রজেক্টর, সিসি ক্যামেরা, সহায়তা কেন্দ্র, মন্তব্য রেজিস্ট্রার, জনগণের বসার স্থান ও মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা বসার জায়গা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সেবা নিতে আসা এক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া দ্রুত আমাদের কাজ করে দিয়েছে। শুধু আমার সাথে নয় সেবা নিতে আসা প্রতিটি মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করছে তারা। এটা সম্ভব হয়েছে সৎ ও সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন স্যারের জন্য।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আমি ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায় সার্বক্ষণিক তদারকি করি। আমার অফিস রুমের দরজা সব সময় খোলা থাকে সাধারণ মানুষের জন্য। তারা আমার কাছে এসে তাদের সমস্যার কথা বলে। আমি মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শুনি এবং দ্রুত তাদের কাজ করে দেই। শুধু ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখা নয় সবদপ্তরে চেষ্টা চালাচিছ অন্যায়-অনিয়ম ও ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার।
আরো পড়ুন : কাশিমপুর কারাগারে রবিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে শুক্কুর আলীর ফাঁসি কার্যকর