ভোট ডাকাতি আর কারচুপির কারণে হেরেছি

জনপ্রতিনিধি তথ্য-প্রযুক্তি নির্বাচন প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘নির্বাচনে ফল বিপর্যয় নয় বরং প্রতিপক্ষের ভোট ডাকাতি আর কারচুপির কারণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরেছেন’ বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সানজিদা খানম। ২ হাজার ১৯৮ ভোটের ব্যবধানে তাকে হারিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, প্রতিপক্ষ আওলাদ হোসেনের সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাওয়ার মতো ভোট দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ আমার হাতে আছে। এগুলো নিয়ে আমি শান্তিপূর্ণ আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।

সানজিদা খানম বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলাম আমি। মাত্র ২২ হাজার ভোট পাওয়ার মতো প্রার্থী আমি নই। ভয় দেখিয়ে, অবৈধভাবে ব্যালটে সিল মেরে, সন্ত্রাসী কায়দায় ভোট কেন্দ্র দখল করে, সহকারী রিটার্নিং অফিসারের অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়ে অফিসারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, হুমকিধমকি দিয়ে ২৪ হাজার ভোট পেয়েছেন আওলাদ হোসেন। তিনি তার অবৈধ টাকার জোরে ১০ লাখ পোস্টার ছাপিয়ে আমার ১ লাখ পোস্টার ঢেকে দিয়েছিলেন। তার প্রত্যেকটি অপকর্মের রেকর্ড আমার কাছে আছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দিন রাত সাড়ে ১১টায় টেলিভিশনের স্ক্রলগুলোতে ঢাকা-৪ আসনে বিজয়ী প্রার্থী হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হচ্ছিল। আমার কাছে সেগুলোর স্ক্রিনশট নেওয়া আছে।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য বলেন, অনিয়মগুলো উল্লেখ করে আমি এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনে ফলাফল পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছি। এরপর হাই কোর্টেও রিট করেছিলাম। হাই কোর্ট রায় দিয়েছিল গেজেটে আওলাদের নাম স্থগিত রাখার জন্য। আমি হাই কোর্টের এই রায় পেয়েছি পৌনে ৩টায়। আর গেজেট পাবলিশ হয়েছে ৪টায়। মাঝখানের এই সময়টায় নির্বাচন কমিশনের সহায়তা নিয়ে হাই কোর্টের রায়কে অমান্য করে তার নাম গেজেটে প্রকাশ করেছে। তারপর আপিল বিভাগে গিয়ে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনে বলেছে, হাই কোর্টের রায় পাওয়ার আগেই নাকি তার নাম গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়ে গেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। এর মধ্য দিয়ে হাই কোর্ট থেকে আমার পক্ষে দেওয়া রায়কে তারা স্থগিত করার ব্যবস্থা করেছে এবং সংসদ সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে।

তিনি বলেন, শপথ নিতে পারলেও তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হওয়ার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আমার হাতে আছে। আমি এগুলো নিয়ে আইনি লড়াই লড়ছি। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই। শান্তিপূর্ণভাবে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে যাব।

আরো পড়ুন : সংসদের বিরোধী দল হচ্ছে জাতীয় পার্টি

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *