মানবিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার জন্য সেই ৬০০ কোটি ডলার আবারও জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র-কাতার

অর্থনীতি আন্তর্জাতিক প্রচ্ছদ ব্যাংক হ্যালোআড্ডা

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় গত মাসেই প্রথম দফায় দুই দেশের পাঁচ জন করে বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়াও, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী জব্দ করা ৬ বিলিয়ন ডলার সম্পদ ফিরে পেয়েছিল তেহরান। জব্দ অর্থও কাতারের ব্যবস্থাপনায় থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়। তবে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর আবারও আলোচনায় এসেছে সেই ৬০০ কোটি ডলার। এবার কাতারের ব্যবস্থাপনায় থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রবেশাধিকার বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতার। অর্থাৎ, আবারও ইরানের সেই ৬০০ কোটি ডলার জব্দ করল যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতার। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের

বৃহস্পতিবার ডেপুটি ট্রেজারি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেয়েমো হাউস ডেমোক্র্যাটসকে বলেছেন, ইরানের ওই তহবিলে আর কোন অ্যাক্সেস থাকবে না। এই অর্থ নিবিড় তত্ত্বাবধানে কেবল মানবিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে।

অনেকে অভিযোগ করছেন, ইরান এ অর্থ ইসরায়েলে হামলার পেছনে খরচ করেছে। এ ৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ইরান হামাসকে অর্থ সহযোগিতা করেছে বলে তাদের অভিযোগ।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, সেপ্টেম্বরে মার্কিন-ইরান বন্দিবিনিময় চুক্তিতে ইরানকে যে ৬ বিলিয়ন ডলার ফেরত দেওয়া হয়েছে, ইরান এখনো তার একটি ডলারও ব্যয় করতে পারেনি। ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, হামাসের এ বিশেষ হামলার পেছনে ইরান জড়িত বা ইরান এ হামলার নির্দেশ দিয়েছে- এমন কোনো প্রমাণ তিনি এখনো দেখেননি। তবে অবশ্যই এখানে ইরানের একটি দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে।

ইরানের বন্দিবিনিময় চুক্তিতে কী ছিল?

গত আগস্টে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির বিবরণ প্রকাশ করে মার্কিন প্রশাসন। সেখানে দেখা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ ইরানের ৬ বিলিয়ন ডলার ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে তেহরানের হাতে আটক পাঁচ মার্কিন নাগরিককে দেশ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দি থাকা পাঁচ ইরানিকে দেশত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়।

কোথা থেকে এলো এ ৬ বিলিয়ন ডলার?

আলোচিত ওই ৬ বিলিয়ন ডলার ইরানেরই অর্থ, যা মার্কিন মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকে জব্দ করা হয়েছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ২০১৯ সালে ইরানের তেল রপ্তানির ওপর এবং ইরানের ব্যাংকিং খাতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। নিষেধাজ্ঞার পর ইরানের তেল বিক্রির এ অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকে আটকে পড়ে। এ অর্থ জব্দ করে সিউলের ব্যাংক।

আরো পড়ুন : বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে এক হাজার রোগীকে বিনামুল্যে চক্ষু সেবা দেবে আরজিসি আই হসপিটাল

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *