পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ মানবিক প্রশ্নে সবসময় সোচ্চার। মানবিক কারণে নির্যাতিতদের কল্যাণে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। কোনো চাপের মুখে জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ। জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাওঁয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের ভোট ছিল মানবিক সহায়তার জন্য, ইউক্রেনের যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত মানুষের পক্ষে, তাই বাংলাদেশ তাদের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এই ইস্যুতে অবস্থান পরিবর্তন হয়নি, কোনো চাপের মুখে বাংলাদেশ অবস্থান পরিবর্তন করেনি। জাতিসংঘে পশ্চিমা ও দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে দুইটি প্রস্তাব এসেছিল। দুটো প্রস্তাবে মানবিক প্রশ্নে আমরা স্বপক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য সম্মত হই। কিন্তু সাউথ আফ্রিকার প্রস্তাব পর্যাপ্ত সমর্থন না পাওয়ার কারণে ভোট দেওয়া হয়নি।
আব্দুল মোমেন বলেন, এখন যুদ্ধে বড় দেশগুলো ছোটদের অকারণ টানাটানি করে, যা অনুচিত। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প কীভাবে চালিয়ে নেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে। জাতিসংঘের প্রথম প্রস্তাবে রাশিয়াকে একতরফাভাবে দোষারোপ করা হয়েছিল, তাই বাংলাদেশ তখন সমর্থন দেয়নি। একটি যুদ্ধে কখনো একপক্ষের কারণে হয় না। আগের প্রস্তাবে একটি দেশের নামই আসেনি। আমরা কোনো দলে নাই, তাই এ প্রস্তাবে মানবিক প্রশ্নে সমর্থন দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না এবং যুদ্ধে অংশীদার হতে চাই না। বর্তমানের যুদ্ধ শুধু সৈন্য দিয়ে হয় না, অর্থনৈতিকভাবেও হয়।আমরা বিভিন্ন ধরনের বিষয় চিন্তা করছি। দেখা যাক কী হয়। কারণ, আমাদের মনে হচ্ছে এর একটি সুদূরপ্রসারী প্রভাব আছে এবং এটি গোটা বিশ্বের যে আর্কিটেকচার সেটি পরিবর্তন করতে পারে।
মোমেন আরও বলেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের সুযোগ দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ পালন করছি, ঠিক তখন জাতীয় গণহত্যা দিবস পালন করছি। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।