নাটোর প্রতিনিধি : ভাষাসৈনিক ও ইউনাইটেড মেডিকেলের স্বত্বাধিকারী ফজলুল হক (৮৪) আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি শারীরিক নানা রোগে ভুগছিলেন। তার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রয়েছে। ভাষাসৈনিক ফজলুল হকের ছেলে ওয়াসিফ-উল-হক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ১৯৩৮ সালে নাটোরের সিংড়া উপজেলার দমদমা গ্রামে ফজলুল হকের জন্ম। জেলা বোর্ডের সেকশন অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরি করেছেন তিনি। অবসরের পর ফজলুল হক নাটোর শহরে ওষুধ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
পারিবারক ও বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫২ সালে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন ফজলুল হক। ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাননি এই ভাষাসৈনিক।
২০১০ সালে অনুষ্ঠিত নাটোর সরকারি বালক বিদ্যালয় শতবর্ষ উৎসবে ভাষা আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা রাখায় তাকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল মাত্র। তিনি যে একজন ভাষাসৈনিক ছিলেন তা নাটোরের অনেক প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছে শোনা যেত; কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে এ পর্যন্ত স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
নাটোর জেলায় যে কয়েকজন ভাষাসৈনিক ছিলেন তাদের মধ্য ফজলুল হক শুধু জীবিত ছিলেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়িতে শুয়ে-বসেই সময় কাটত তার। সম্প্রতি শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।
এ অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দিনগত রাতে তিনি মারা যান।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর নাটোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
আরো পড়ুন : মোহাম্মদ আল বশির সিরিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী