মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ১৩টি দেশের মোট ৩৭ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে ২০ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের সর্বজনীন ঘোষণার ৭৫ বছর পূর্তি সামনে রেখে স্থানীয় সময় শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র দপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে এসব ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যেসব দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, হাইতি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাইবেরিয়া, চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সুদান, সিরিয়া, উগান্ডা ও জিম্বাবুয়ে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের দুজন আফগানিস্তান সরকারের মন্ত্রী। বলা হয়েছে, তাঁরা দেশটিতে মেয়েদের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ বন্ধ করার মাধ্যমে নারী নিপীড়নে জড়িত রয়েছেন। ইরানের দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন বলছে, তাঁরা দেশের বাইরে ইরানের সরকারবিরোধীদের ওপর সহিংসতার পরিকল্পনা করেছিলেন। চীনের জিনজিয়ানে উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির দুই কর্মকর্তাও এসেছেন নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায়।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের সম্পদ ভোগদখল করতে পারবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যাংকে থাকা অর্থ তুলতে পারবেন না। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সঙ্গে কোনো ব্যবসা ও লেনদেন করতে পারবে না।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং মার্কিন অর্থব্যবস্থাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের থেকে নিরাপদ রাখার প্রতিশ্রুতি পূরণে যুক্তরাষ্ট্র কতটা অঙ্গীকারবদ্ধ, তা এই নিষেধাজ্ঞায় প্রতিফলিত হয়েছে।
১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারবিষয়ক সর্বজনীন ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই ঘোষণায় সবার জন্য মানবাধিকার ও স্বাধীনতার একটি মানদণ্ড তুলে ধরা হয়।
আরো পড়ুন : যেভাবে ইসরায়েলি নারী ইয়েল এখনো ফিলিস্তিনিদের সেবা করছেন: বিবিসি