নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি, জামায়াত ও রাজাকাররা দেশ থেকে এখনো বিদায় নেয়নি। সুযোগ পেলেই তারা খামচে ধরতে চায়। এ অবস্থায় আগে দেশ, তারপর অন্য কিছু। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হলে শেখ হাসিনাকে শক্তিশালী করা সময়ের দাবি।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ সভার আয়োজন করে ১৪ দল।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ১৪-দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, সংবিধানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, তারা জাতীয় শত্রু। যারা সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের সরকার যেন গ্রেপ্তার করে, সেই অনুরোধ জানান তিনি।
ক্ষমতায় থাকলেও যুদ্ধ থামেনি মন্তব্য করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, রাজনীতির মাঠ থেকে বিএনপি এখনো বিদায় নেয়নি। জামায়াত এখনো বিদায় নেয়নি। রাজাকাররা এখনো বিদায় নেয়নি। সুযোগ পেলেই তারা পতাকা খামচে ধরতে চায়। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে যাঁরা নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে হইচই করছেন, তাঁদের বলব-আগে দেশ, তারপর অন্য কিছু।
সবাইকে নিয়ে নির্বাচন-এ কথা যাঁরা বলেন, তাঁদের উদ্দেশে হাসানুল হক বলেন, সবাইকে নিয়ে নয়। রাজাকার, জামায়াত, ১৯৭১ ও ১৯৭৫ সালের খুনি, দুর্নীতির দণ্ডিত অপরাধীদের বাদ দিয়ে আর সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে।
বিএনপির উদ্দেশে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘নির্বাচনে যাবেন কি যাবেন না, সেটা আপনাদের সিদ্ধান্ত। আপনারা আরেকবার চেষ্টা করেছিলেন। ২০১৪ সালে আগুন–সন্ত্রাস দিয়ে মানুষ হত্যা করে। আজকে বলে যেতে চাই, ২০২৪ সালে নির্বাচন হবে। আহ্বান জানাব, আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। সারা দেশের কর্মীরা প্রস্তুত, যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, সংবিধানসম্মতভাবে হয়, সেটাই আমাদের স্বাধীনতা দিবসের প্রত্যয়।’
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের যে জোয়ার সৃষ্টি করেছেন, তার ধারাবাহিকতায় আমরা চাই আগামীবারও ক্ষমতায় থাকুক। সে জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
আরো পড়ুন : বিশিষ্টজনদের মতে ‘সংকুচিত হয়ে পড়ছে স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্র’