একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালে সংঘটিত জুলাই বিপ্লবের চেতনায় বিশ্ববাসীদের সাথী করে পথ চলবে বিএনপি। পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের সিপাহি-জনতার বিপ্লব এবং নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা হৃদয়ে লালন করেই এগিয়ে যাবে দলটি। গত সোমবার রাতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলটির নেতারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে নীতিগতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশকিছু কর্মকাণ্ড দলটির মধ্যে শঙ্কার কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে, রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবির পর ৭২-এর সংবিধান বাতিলের দাবি- দুটিই উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করছে বিএনপি। পাশাপাশি এও মনে করা হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা গেলে পরবর্তীকালে সুযোগ পেলে বিএনপিকেও নিষিদ্ধের দাবি তোলা হতে পারে। সেই আয়োজনও দেখতে পাচ্ছে দলটি। বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের নেতারা এ-ও মনে করেন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে এ পর্যন্ত গণতন্ত্রের পক্ষে যা কিছু হয়েছে, এগুলোর কোনোটিকে বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বা সংগঠন অথবা ব্যক্তির পক্ষে পথ চলা সম্ভব নয়। যারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করবে তাদের নিয়েই পথ চলবে বিএনপি।
জানতে চাইলে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, দেশ ও দেশের গণতন্ত্র যতবার সংকটে পড়েছে, ততবারই ত্রাতা হিসেবে বিএনপি আবির্ভূত হয়েছে। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক। সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নব্বইয়ে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। সর্বশেষ, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অগ্রণী ভূমিকা সবারই জানা। কোনো একটাকে বাদ দিয়ে আমাদের পথচলা সম্ভব নয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময় অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত সংবিধান বাতিল করলে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা হবে। এটির সংশোধন বা সংযোজন করা যেতে পারে। দেশের সংবিধান বাতিল করা হলে একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অস্বীকার করা হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির। তবে এর আগে সোমবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর সেদিন রাতেই সরকারের এ উদ্যোগকে ‘সময়োপযোগী’ আখ্যা দিয়ে একে সাধুবাদ জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করে। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সরকার এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে সম্ভাব্য একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে দেশকে রক্ষা করেছে।
বিএনপি মনে করে, একটি ইসলামিক দলের ইন্ধনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার মাধ্যমে দেশে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। নির্বাচনকে বিলম্বিত করে তারা চলমান শাসন ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল বলেও ধারণা বিএনপির। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা অরাজকতা সৃষ্টি করবে।
জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির বৈঠকের শুরুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্রনেতাদের ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ এবং এরপর তার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের সাক্ষাতের বিস্তারিত তুলে ধরেন। বৈঠকে নেতারা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্ল্যাটফর্মের এই নতুন উদ্যোগের সঙ্গে জনগণ, রাজনৈতিক দল ও বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কেউ যুক্ত নন। ছাত্ররা তাদের নিজেদের মতো করে বাংলাদেশের একটি চরিত্র দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। তারা যে সংবিধান বাতিল করে দেওয়ার কথা বলছে, সেই সংবিধানের আলোকেই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে এবং রাষ্ট্রের একটা কাঠামোগত অবস্থান আছে। বাহাত্তরের সেই সংবিধান বাতিল করে দেওয়া হলে দেশে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং সেই পরিস্থিতি জুলাই অভ্যুত্থান এবং জনগণের গণতন্ত্রের আকাক্সক্ষাকে নস্যাৎ করে দিতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কারা পৃষ্ঠপোষকতা করছে- স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কয়েকজন নেতা এ প্রশ্নও তোলেন। নেতাদের কেউ ছাত্র আন্দোলনের এসব উদ্যোগের দৃশ্যমান কোনো পৃষ্ঠপোষক খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে জামায়াতের ইন্ধন আছে বলে মনে করেন নেতারা।
বৈঠকে দুয়েকজন অভিমত ব্যক্ত করেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তাদের কাছে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ, বিএনপিকে টার্গেট করেই পুরো নকশা তৈরি করা হয়েছে।
বৈঠকে বিএনপির এক নেতা বলেন, ছাত্রদের কর্মসূচিকে ঘিরে সারাদেশ থেকে যেভাবে গাড়িবোঝাই করে লোকজন আনা হচ্ছে, তাদের অর্থের উৎস কী? তাদের অনেকে এখনও ছাত্র, অন্যরা ক’দিন আগেও ছাত্র ছিল। সে কারণে তাদের কার্যক্রম জনমানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অন্য এক নেতা বলেন, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কেউ ছাত্রলীগ, কেউ ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বিএনপির কারও কারও অভিমত, গণ-আন্দোলন-বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে হয় আন্দোলনের আগেই। জুলাই-আগস্টের যে গণ-আন্দোলন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতনের আগেই সেটার ঘোষণাপত্র তুলে ধরলে জনগণ তাদের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেত। কারণ, আন্দোলনটা শুরু হয়েছিল কোটাবিরোধী ইস্যুতে। মানুষ তাদের সেই ঘোষণাপত্র গ্রহণ করবে কি করবে না, সে ব্যাপারে তারা তখন সিদ্ধান্ত নিত। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের প্রায় পাঁচ মাস পর ছাত্ররা যে বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসছেন, সেটা সংকট ছাড়া অন্যকিছু তৈরি করবে না। যে বিষয়গুলো বলা হচ্ছে, সেগুলোও বাস্তবসম্মত নয়।
কেন ঘোষণাপত্র দেয়নি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য না হওয়ায় ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ দেয়নি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া এ ধরনের ঘোষণার বিষয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহল থেকেও আপত্তি ছিল। ফলে কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
গত সোমবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানো হয়। এর ফলে আপাতত বড় ধরনের জটিলতা কাটানো গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সরকারের উদ্যোগেও রাজনৈতিক ঐকমত্য না হলে পরিস্থিতি কোথায় গড়াতে পারে, তাও ভাবাচ্ছে বিভিন্ন দল ও মহলকে।
বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতা ও অরাজনৈতিক মহলের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের পূর্বাপর ঘটনা জানা গেছে। গত সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
ওই সব সূত্রে জানা গেছে, ঘোষণাপত্র দেওয়ার বিষয়ে বিএনপি ও জামায়াতসহ নিবন্ধিত কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এর মধ্যে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল-ই ঘোষণাপত্রের কয়েকটি বিষয়ের সঙ্গে একমত হয়নি। তবে জামায়াত ও এবি পার্টি ছাত্রদের কর্মসূচি ও ঘোষণার সঙ্গে একমত ছিল বলে ওই সূত্রগুলোর দাবি।
এ বিষয়ে কোনো পক্ষই নাম প্রকাশ করে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে কয়েকটি পক্ষের সূত্র নিশ্চিত করে ঘটনার যে বর্ণনা দেওয়া হয়, তাতে জানা যায়, রাজনৈতিক ঐকমত্য না হওয়ায় সরকারসহ কয়েকটি অরাজনৈতিক মহল ছাত্র নেতাদের ঘোষণাপত্র দেওয়া থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানালে তাতে সম্মত হন তারা।
জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সময় ও পরিস্থিতিই সব উত্তর দিয়ে দেবে।
গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গতকাল রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি ঘোষণাপত্র দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা সেটিকে সর্বজনীন করার উদ্যোগ নিয়ে জাতিকে একটি বিভাজন থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি আরও বলেন, আগামীর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। এই পরিস্থিতিতে যে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত দেশকে পেছনে নিয়ে যাবে।
সূত্র জানায়, মূলত বিএনপির বিরোধিতার কারণে ছাত্রদের এ উদ্যোগ ভেস্তে যায়। কারণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের এ উদ্যোগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রথম থেকেই বিএনপিতে সংশয় ও উদ্বেগ ছিল। বিদ্যমান সরকার কাঠামো থেকে কেন তারা এই উদ্যোগ নিচ্ছে, তা নিয়ে বিএনপির কাছে ভিন্ন ধরনের বার্তা ছিল।
দলটির একাধিক সূত্র জানায়, রবিবার বিকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘোষণাপত্রের বিষয়ে তাদের আপত্তির কথা অবহিত করে। সাক্ষাতে রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে এককভাবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিলে দেশে যে বিশৃঙ্খলা-সংকট তৈরি হবে, সেই শঙ্কার কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান মির্জা ফখরুল। মূলত এরপরই দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকে। ওই রাতে মির্জা ফখরুল ইসলামের গুলশানের বাসায় যান অন্তর্বর্তী সরকারের দুজন উপদেষ্টা, যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারাও বিএনপি মহাসচিবের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাননি। এ ছাড়া সরকারের একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টাও তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন।
জানা গেছে, বিএনপির পাশাপাশি ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আরও যে কয়েকটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তারাও বিএনপির দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিএনপির মনোভাব জানতে পেরে ছাত্রদের উদ্যোগে ওই দলগুলোও সাড়া দেয়নি। এ ছাড়া ডান ও বামপন্থি গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দলের সঙ্গে ছাত্র নেতৃত্ব যোগাযোগ করেনি বলেও জানা গেছে। ফলে দলগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, জামায়াত ছাড়া অধিকাংশ দলের সম্মতি নেই- এমন সংবাদ সরকার ও গুরুত্বপূর্ণ মহলের কাছে পৌঁছলে তারাও বিষয়টি নিয়ে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। একপর্যায়ে সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা বৈঠক করে গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘোষণাপত্রের কয়েকটি বিষয় নিয়ে তাদের আপত্তি আছে। বিশেষ করে, ৭২ এর সংবিধান বাতিলের বিষয়টি। আরও কয়েকটি স্পর্শকাতর বিষয় ছিল যা গুরুত্বপূর্ণ মহলের চোখ এড়ায়নি। এসব বিষয় দেশকে সংকটে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন তারা। এর বাইরে কয়েকটি দল গত রবি ও সোমবার ৭২ এর সংবিধান বাতিলের বিরোধিতা করে বক্তব্য-বিবৃতি দেয়।