রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বুধবার রাতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ১৫৫টি কেন্দ্রের সবগুলোর ফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফল অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী লিটন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট।
মেয়র পদে অন্য দুই প্রার্থী জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার (গোলাপ) ১১ হাজার ৭১৩ ভোট এবং জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল) ১০ হাজার ২৭২ ভোট পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর রাজশাহী সিটিতে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ
নির্বাচনে মোট ১৫৫টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয় ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) কমিশনের সদস্যরা।
বুধবার রাতে ফল প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘কর্মসংস্থানের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা কঠিন। তবে আমি বাস্তবায়ন করব। আমি এবং আমার পূর্বপুরুষেরা জনগণের জন্য রাজনীতি করেছি। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করিনি, করব না।’
ফল ঘোষণার পর জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘ভোট ভালো হয়েছে। ফলাফল ঠিক আছে।’
জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার বলেন, ‘ভোট সুন্দর হয়েছে। ইভিএম না হলে ভোট আরও বাড়ত। ফলাফল মেনে নিয়েছি।’
ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী লতিফ আনোয়ার বলেন, ‘জনগণ ভোট দিয়েছে। তাই আমি দ্বিতীয় হয়েছি। আমি ভোটকেন্দ্রে যাইনি, তবে জনগণ গেছেন। কাউকে যেতে নিষেধ করিনি। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে কিনা তা পরে জানাব।’
আরো পড়ুন : আনোয়ারুজ্জামান সিলেট সিটির নতুন মেয়র