কয়েক ঘণ্টা পেরোলেই শুরু বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশ। এর আগেই বাড়ছে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি। রাত যত বাড়ছে, বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীর সংখ্যাও তত বাড়ছে। সমাবেশ কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে আছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
ইতোমধ্যে সমাবেশস্থল বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জড়ো হয়েছেন বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কয়েক হাজার নেতাকর্মী। মিছিল আর বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে সমাবেশস্থল।
বিএনপির নেতারা বলছেন, এবারের গণসমাবেশে লোকসমাগমে অতীতের রেকর্ড ভেঙে যাবে। দফায় দফায় মিছিল স্লোগান দিয়ে সরগরম করে রাখা হয়েছে সমাবেশস্থল। পুরো উদ্যান ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে ফেলা হয়েছে।
বিভাগীয় এই গণসমাবেশে যোগ দিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম ডা. জাহিদ হাসান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল বরিশালে রয়েছেন।
গণসমাবেশের সভাপতি বরিশাল মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, অন্যান্য বিভাগের মতো বরিশালেও বাধা দিয়ে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে। সমাবেশস্থল ইতোমধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এখনো নেতাকর্মীরা আসছেন। তাদেরকে পথে পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, মঞ্চ তৈরিসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষ। সরকারের কোনো বাধাই এখন কাজে আসলো না। মানুষ আর এই সরকার চায় না বলেই শত বাধা-নির্যাতন সত্যেও সমাবেশে ঢল নেমেছে। আগামীকালের ঐতিহাসিক সমাবেশে সরকারের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলের নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরের পর শনিবার বরিশালে গণসমাবেশ করার কথা রয়েছে। এটি বিএনপির পঞ্চম বিভাগীয় গণসমাবেশ।
আরো পড়ুন : ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ বন্ধে চীনকে সাথে নিয়ে জার্মানি চাপ দিতে চায় রাশিয়াকে