রাশিয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদকারীদের জরিমানা বা ইউক্রেন সংঘাতের ফ্রন্টলাইনে পাঠানোর মতো শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দেশটির একজন সংসদ সদস্য (ডুমা) সদস্য এবং পার্লামেন্টের পরিবার সুরক্ষা কমিটির উপ-প্রধান এই প্রস্তাব করেছেন।
বুধবার সংসদে ডানপন্থী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ রাশিয়া (এলডিপিআর) পার্টির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার সময় ভিতালি মিলোনভ এই ধারণাটি নিয়ে আসেন। ওই প্রস্তাবে বলা হয়, ৩৫ বছরের আগে বিয়ে করলে ১০,০০০ রুবল (প্রায় ১১৩ ডলার) দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে।
ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির এই এমপি যুক্তি দেখান যে, সমস্যাটা এটা নয় যে রাশিয়ায় খুব কম বিয়ে হয়, বরং সমস্যা হচ্ছে হলো বিবাহিতদের মধ্যে অনেকগুলো বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এ কারণেই আমি বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে ১০০,০০০ রুবল (১,১২৮ ডলার) জরিমানা বা ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ফ্রন্টলাইনে সংশোধনমূলক শ্রমের প্রস্তাব করছি।
মিলোনভ জোর দিয়ে বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের লাগামহীন জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে, যদি তিনি মনে করেন যে তিনি যথেষ্ট আনন্দ পাননি এবং বিভিন্ন দিকে প্রতারণা চালিয়ে যান, তবে বিবাহবিচ্ছেদের দায়বদ্ধতা তাকেই বহন করা উচিত এবং তাই আর্থিক ব্যয় ভোগ করতে হবে।
রাশিয়ার ফেডারেল স্টেট স্ট্যাটিস্টিকস সার্ভিসের চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে দেশটিতে ৮ লাখের বেশি বিয়ে এবং প্রায় ৫ লাখ ৬৬ হাজার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।
ডুমার পরিবার সুরক্ষা কমিটির প্রধান নিনা ওস্তানিনা পরে স্থানীয় গণমাধ্যম গ্যাজেটা.আরইউকে বলেন, পার্লামেন্ট সংসদ সদস্য মিলোনভের উদ্যোগ বিবেচনা করবে না।
তিনি বলেন, বিবাহবিচ্ছেদ নিজেই ইতিমধ্যে একটি শাস্তি। পিতামাতার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির ভোগান্তির শিকার হয় শিশুরা। ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে, বিবাহবিচ্ছেদের কারণগুলির অন্যতম বৈষয়িক বিষয়াদি যেমন, কম মজুরি, আবাসন সমস্যা ইত্যাদি। সূত্র: আরটি
আরো পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘের অভিনন্দন