রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে আরও এক বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ বুধবারই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘোষণা দিতে পারেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে কথা জানানো হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এ অর্থ দিয়ে বিমান ও সাঁজোয়া যানবিধ্বংসী স্টিঙ্গার ও জ্যাভেলিনের মতো অস্ত্র কেনা হবে বলে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়। গত সপ্তাহে কংগ্রেসে ইউক্রেনের জন্য পাস হওয়া প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের তহবিল থেকে এ অর্থ দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনকে আড়াই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের সর্বশেষ অস্ত্রের চালান অনুমোদন করা হয়।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকেই কিয়েভকে অস্ত্রসহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো। হামলার পর অস্ত্র সহায়তা আরও জোরদার করে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগই বিমান ও ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এর মধ্য পোল্যান্ড নিজেদের কাছে থাকা রাশিয়ার তৈরি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ইউক্রেনকে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এতে সাড়া দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। মস্কো বলছে, এসব অস্ত্রের চালান হবে তাদের হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু।
ইউক্রেনে রুশ হামলা আজ ২১তম দিনে গড়িয়েছে। এদিন স্থানীয় সময় দিবাগত রাত তিনটার পরপরই দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লিভিভে সম্ভাব্য বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাইরেন বাজানো হয়। শহরটি পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে ১৫ মাইল দূরে। দুই দিন আগে এই শহরের উপকণ্ঠে একটি সামরিক ঘাঁটিতে রুশ বাহিনীর ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হন। রাশিয়া দাবি করে, হামলায় বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধারা নিহত হয়েছেন।