রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশের আমদানিনির্ভর পণ্য বাজার নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে জ্বালানি তেল, গম ও ভুট্টা আমদানি নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ রাশিয়ার ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন নিয়েও দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।
যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ‘বাংলাদেশের আমদানিনির্ভর পণ্যের বাজারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব’ সংক্রান্ত ওই বিশেষ প্রতিবেদনে সরকারের এ উদ্বেগ ফুটে উঠেছে। প্রতিবেদনটি ২১ মার্চ বাণিজ্য, কৃষি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের কাছে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ছয়টি সুপারিশও করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আগেই বিভিন্ন দেশ থেকে যথেষ্ট পরিমাণে গম ও ভুট্টা আমদানির ব্যবস্থা করতে হবে। রাশিয়ার ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে দেশে চলমান প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরের আশপাশের দেশগুলোতে যুদ্ধকালীন আকাশপথে পণ্য পরিবহন করা, দেশে বাড়তি গম ও ভুট্টা চাষের ব্যবস্থা করা এবং নতুন নতুন দেশে রপ্তানি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এ ছাড়া যুদ্ধ নিয়ে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে ‘অপপ্রচার’ বা ‘গুজব’ ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে এ খাতে অতিরিক্ত ভর্তুকি দিয়ে অথবা দাম বাড়িয়ে সমন্বয় করার কথা বলা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ ও সরকারের সংশ্নিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া বা ইউক্রেনের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতির সরাসরি সম্পৃক্ততা বিশেষ নেই। ফলে তাৎক্ষণিক বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কাও নেই।
তবে এই যুদ্ধ প্রলম্বিত হলে সামষ্টিক অর্থনীতি এক ধরনের চাপে পড়বে। সেজন্য অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে মূল্যস্ম্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং বৈশ্বিক ক্ষেত্রে নতুন বাজারে যাওয়ার জন্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সমকালকে বলেন, বিকল্প বাজার থেকে জ্বালানি সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। কিন্তু জ্বালানি বিকল্প বাজার বেশি নেই। অন্যান্য দেশও একই চেষ্টা করছে। ফলে পরিস্থিতি ঠিক কী দাঁড়াবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আগামী জুন পর্যন্ত দেশের বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাস সরবরাহ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।
সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুদ্ধের প্রভাবে যাতে আমদানি ব্যাহত না হয় এবং অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল থাকে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ২৩ মার্চ খাদ্য অধিদপ্তরের ৫০ হাজার টন গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সুইস সিঙ্গাপুর ওভারসিজ এন্টারপ্রাইজ থেকে ১৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকায় এসব গম কেনা হবে। প্রতি টন গমের দাম পড়বে ৪১০ ডলার। পাশাপাশি এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরের ভিটল এনার্জি এ এলএনজি সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে এক হাজার ২৪১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি দামে এসব এলএনজি কেনা হচ্ছে।
খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম সমকালকে বলেন, রাশিয়া, ইউক্রেন থেকে যেমন গম আমদানি হয়, তেমনি অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা, ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকেও আমদানি করা হয়। ভারত থেকে গম আমদানি বাড়ানো হচ্ছে। এরই মধ্যে তিন লটে দেড় লাখ টন ভারতীয় গম আমদানি চূড়ান্ত হয়েছে। এ ছাড়া গমের প্রোটিনের মাত্রাও কমানো হয়েছে। ফলে গম আমদানি নিয়ে সমস্যা হবে না। তবে দাম বাড়লে সেটা ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, রমজানে সাধারণত সরকারি কর্মকাে গম সরবরাহ কমিয়ে চালের সরবরাহ বাড়ানো হয়। এবারও তাই করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সমকালকে বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের বাইরে অন্য দেশে থেকে গম আমদানি নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।
অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন সমকালকে বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে, এটা অনেকটা জোর দিয়ে বলা যায়। ফলে অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য অবশ্যই বিকল্প উদ্যোগ দরকার। তবে সেই উদ্যোগ শুধু আমদানির ক্ষেত্রে নয়, অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও হতে পারে। তিনি বলেন, সরকার যেসব কাজে গম ব্যবহার করে, সেখানে চাল ব্যবহার করা যেতে পারে।
গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক ড. আব্দুর রাজ্জাক সমকালকে বলেন, করোনার পরে যখন বৈশ্বিক অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, চাহিদা বাড়ছিল, ঠিক সেই সময়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। করোনা-পরবর্তী চাহিদায় মূল্যস্ম্ফীতি বাড়ছিল। এখন যুদ্ধের কারণে সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় মূল্যস্ম্ফীতি আরও বাড়ছে। এখন বাংলাদেশের সামনে মূল্যস্ম্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা এবং বৈদেশিক মুদ্রার মজুত নিরাপদ মাত্রায় রাখার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। মূল্যস্ম্ফীতি সামাল দিতে তিনি অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। আর বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ঠিক রাখতে বিলাস পণ্যের আমদানি ও ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা যেতে পারে। পাশাপাশি বৈশ্বিক সংস্থা থেকে কম সুদে ঋণ পাওয়া গেলে সেটা নেওয়া যাবে।
বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রায় ৫০ লাখ টন গম আমদানি করে, যার দুই তৃতীয়াংশ আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। আর মোট ভুট্টা আমদানির ২০ শতাংশ আসে এই দুই দেশ থেকে। যুদ্ধের কারণে ইউরোশিয়ার অন্যতম বাণিজ্যিক রুট কৃষ্ণ সাগরে কোনো ধরনের জাহাজ প্রবেশ করছে না। ফলে দেশ দুটি থেকে গম ও ভুট্টা আমদানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ প্রকল্পসহ দেশের কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পে রাশিয়ার অর্থায়ন রয়েছে। রয়েছে কারিগরি বিষয় ও যন্ত্রপাতির সম্পৃক্ততা। বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল বা গ্যাস আমদানি করে না। তবে যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। যা অন্যান্য বাজারকে প্রভাবিত করে জ্বালানি তেল ও এলএনজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনে সরাসরি এবং অন্য দেশের মাধ্যমে তৈরি পোশাক, পাট, হিমায়িত খাদ্য, চা, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য, তামাক, মাছ, ওষুধ, শাকসবজি ইত্যাদি রপ্তানি হয়ে থাকে। অন্যদিকে যুদ্ধরত এই দুই দেশ থেকে গম, ভুট্টা, সরিষা, মটরের ডাল, মসুর ডাল, সূর্যমূখী, খনিজ সামগ্রী, রাসায়নিক পদার্থ, যন্ত্রাংশ, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। একই সময়ে আমদানি হয়েছে ৪৬ কোটি ৬৭ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি ছিলো ৪৮ কোটি ৫২ লাখ ডলারের পণ্য। একই সময়ে রাশিয়া থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ৬২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। একইভাবে ইউক্রেনে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৪৫ কোটি ডলার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের অংশ হিসেবে রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংককে আন্তর্জাতিক লেনদেনের মাধ্যম সুইফট থেকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে রাশিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রার লেনদেন ব্যাহত হচ্ছে। যার কারণে বাংলাদেশে অতি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত চলমান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ ব্যাহত হলে দেশ বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। যুদ্ধের কারণে এরই মধ্যে ৩৬টি দেশের সঙ্গে রাশিয়ার বিমান যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে কৃষ্ণ সাগর ব্যবহার করতে না পারায় অনেক জাহাজকে বহু দেশ ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে। ফলে আকাশ ও নৌপথে পণ্য পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জোট এই দুই দেশে পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় সারাবিশ্বে জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ বিভিন্ন পণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে দামও বেড়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে তার ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশের আমদানিনির্ভর নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। খাদ্যশস্য ও পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবের পরই রয়েছে রাশিয়ার অবস্থান। বিশ্বের চাহিদার ১০ শতাংশ জ্বালানি তেল সরবরাহ করে রাশিয়া। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করে। ওইদিন বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৯৫ দশমিক ৪২ মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে ১১৮ দশমিক ৯ ডলারে উঠেছে। যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হলে আরও বাড়তে পারে। এতে ভবিষ্যতে জ্বালানি তেল আমদানিতে ব্যয় বাড়বে। এ খাতে সরকারকে অতিরিক্ত ভর্তুকি বা দাম বাড়িয়ে সমন্বয় করা লাগতে পারে। ফলে বাংলাদেশ যুদ্ধের কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও পরোক্ষভাবে সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রকল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পেমেন্ট বা পরিশোধ আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রয়োজনীয় আমদানির মূল্য আপাতত পরিশোধ করা হবে না। এমনকি এই প্রকল্পে কর্মরত বিদেশিদের বেতন-ভাতাও বিদেশের ব্যাংকের পরিশোধ স্থগিত করা হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশান ফেডারেশনের ‘এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট’-এর সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হয়। চুক্তিমূল্যের ৯০ শতাংশ তথা এক হাজার ১৩৮ কোটি ডলার অর্থায়ন করছে দেশটি। সোনালী ব্যাংক সুইফট চ্যানেলে এই প্রকল্পের আর্থিক লেনদেন করে। রাশিয়ার যেসব ব্যাংকের সঙ্গে এ প্রকল্পের লেনদেন হয় তার সব ক’টি সুইফটের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে। ফলে নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘায়িত হলে এসব লেনদেন বাস্তবায়ন জটিল হতে পারে। এমনকি প্রকল্প বাস্তবায়ন ঝুলে যেতে পারে।