ইউক্রেনের বাখমুত শহরের রাস্তায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের বাহিনীর মধ্যে লড়াই চলছে। তবে রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়নি বলেছেন উপ–মেয়র।
উপ–মেয়র ওলেকজান্দার মার্চেঙ্কো বিবিসিকে বলেছেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ–বিচ্ছিন্ন অবস্থায় চার হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
মার্চেঙ্কো আরও বলেন, ‘বাখমুত শহর প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে এমন একটি ভবন নেই যেখানে হামলা হয়নি।’
কয়েক মাস ধরেই বাখমুতে সংঘর্ষ চলছে। মার্চেঙ্কো আরও বলেন, ‘শহরের কাছে লড়াই চলছে। শহরের রাস্তায়ও লড়াই হচ্ছে।’
বাখমুত শহরের দখল নিতে পারলে সম্প্রতি কয়েক মাসে রাশিয়ার জন্য বড় অর্জন হবে। তবে শহরটির কৌশলগত মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, চড়া মূল্য দিয়ে রাশিয়াকে বিজয় অর্জন করতে হতে পারে।
রাশিয়ার কয়েক হাজার সেনা বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টার সময় নিহত হয়েছেন। যুদ্ধের আগে বাখমুতের জনসংখ্যা ছিল ৭৫ হাজার।
মার্চেঙ্কো অভিযোগ করে বলেছেন, শহরটি রক্ষার জন্য রাশিয়ার কোনো চেষ্টা নেই। রাশিয়া গণহত্যা চালাচ্ছে।
মার্চেঙ্কো টুডে প্রোগ্রামকে বলেছেন, বাখমুত শহরের যোগাযোগব্যবস্থা এখন বিপর্যস্ত। শহরটির সেতুগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।
বাখমুতের পতন হবে এটা আগেই অনুমান করা গিয়েছে। তবে ছয় মাসেরও বেশি সময় পর শহরটির পতন হলো।
এ সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বাখমুত শহরের পরিস্থিতি দিনে দিনে জটিল হচ্ছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, গত শুক্রবার থেকে বাখমুতে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।
মার্চেঙ্কো বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের এক ইঞ্চি জমিও শত্রুকে দেওয়া উচিত নয়। আমাদের ভূমিকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশে থাকা ব্যবসা সুরক্ষিত রাখতে হবে।’
মার্চেঙ্কো আরও বলেছেন, তাঁরা মারিউপোল ও পোপাসনার মতো বাখমুতকে ধ্বংস করতে চান।
শুক্রবার জেলেনস্কি আরও বলেছেন, রাশিয়াকে থামাতে গোলা প্রয়োজন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন ইউক্রেনে সর্বশেষ যে প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে তাতে হিমার্স আর্টিলারি রকেট ও হাউইটজার ছিল। ইউক্রেন এগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার করেছে।
আরো পড়ুন : আইডিয়াল কলেজের পর এবার ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ