নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় বিদ্যুতের বিলের টাকা নিয়ে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে একটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপককে গুলি করেছেন শপিং কমপ্লেক্সের মালিক। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকের নাম শফিফুর রহমান ওরফে কাজল (৫৫)। তলপেটে গুলি লেগেছে তাঁর। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ অস্ত্রসহ আটক করেছে শপিং কমপ্লেক্সের মালিক আজহার তালুকদারকে।
‘সুলতান ভাই কাচ্চি’ নামের রেস্তোরাঁটি চাষাঢ়ার আঙ্গুরা শপিং কমপ্লেক্সের একতলা ও দোতলার এক পাশজুড়ে অবস্থিত। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, রোববার রাত ১০টার দিকে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে শপিং কমপ্লেক্সের মালিক আজহার তালুকদার ও রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক শফিফুর রহমানের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে বাসা থেকে পিস্তল ও শটগান নিয়ে এসে আজহার গুলি ছুড়লে আহত হন শফিফুর।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, শহরের চাষাঢ়ায় ‘আঙ্গুরা’ নামের শপিং কমপ্লেক্সের মালিক আজহার তালুকার ও তাঁর ভাই আজিজুল হক। শপিং কমপ্লেক্সের একতলা ও দোতলার একাংশ ‘সুলতান ভাই কাচ্চি’ রেস্তোরাঁকে ভাড়া দিয়েছেন তাঁরা। মাসে রেস্তোরাঁ ভাড়া ৭০ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল। বিদ্যুতের বিলের টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দিন ধরে বিরোধ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাই লাউ জানান, কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে শপিং কমপ্লেক্সেই থাকা নিজের বাসায় গিয়ে আজহার শটগান ও পিস্তল নিয়ে আসেন। প্রথমে একটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এ সময় রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক শফিফুর ভয়ে দোতলা থেকে নেমে আসেন। এরপরও আজহার তাঁকে লক্ষ্য করে আরও কয়েকটি গুলি ছোড়েন। এতে শফিফুর গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শত শত লোক রেস্তোরাঁর সামনে এসে ভিড় করেন। খবর পেয়ে থানা–পুলিশ ও ডিবি পুলিশ গিয়ে আজহারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাই লাউ বলেন, রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক শফিফুর তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিক আজহারকে লাইসেন্স করা একটি শটগান, একটি পিস্তলসহ আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনার পর রেস্তোরাঁর মালিক শুক্কুর মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
আরো পড়ুন : জাল টাকার বাহক থেকে উজ্জ্বল দাস নিজেই গড়ে তোলেন চক্র