নলডাঙ্গা(নাটোর)প্রতিনিধিঃ জমিতে মাচায় লাউয়ের সাথে শাক-সবজি চাষ করে মাত্র তিন মাসে দ্বিগুণ লাভে হাসি ফুটেছে নাটোরের নলডাঙ্গার কৃষকদের মুখে।
মিশ্র পদ্ধতির এ চাষে কম জায়গাতেই ধারাবাহিকভাবে অধিক ফসল যেমন উৎপাদন উৎপাদন হচ্ছে তেমনি চাহিদা মিটছে নিরাপদ, বিষমুক্ত সবজির। কম খরচে উচ্চমূল্যের ফসল চাষাবাদে তরুণ,যুবক কৃষকদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি সহযোগীতার আশ্বাস দিচ্ছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
মাচায় ঝুলছে সারি সারি লাউ আর মাচার নিচে একই সঙ্গে চাষাবাদ হচ্ছে,লালশাক,ধুন্দুল,শসাসহ হরেক রকমের সবজি। জমিতে মিশ্র এ চাষে দ্বিগুণ লাভে হাসি ফুটেছে নাটোরের নলডাঙ্গার মির্জাপুর ও মাধনগর এলাকার কৃষকদের মুখে।
স্থানীয় এলাকাবাসী,তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা, ইলিয়াস হোসেন,ওহায়াব মৃধা বলেন,বিষমুক্ত এসব সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় জমি থেকেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে খুচরা ও পাইকারি ক্রেতাদের কাছে। ক্ষেত থেকেই একেকটি লাউ বিক্রি হচ্ছে কমপক্ষে ৩০টাকা করে। সতেজ, টাটকা লাউ গাছ থেকে নিজে হাতে কেটে নিতে পেরে খুশি তারাও। মিশ্র পদ্ধতির এ চাষে কম জায়গাতেই ধারাবাহিকভাবে অধিক ফসল যেমন উৎপাদন হচ্ছে তেমনি চাহিদা মিটছে নিরাপদ সবজির। তবে,অল্প সময়ে লাউয়ের অধিক ফলনের জন্য পরিচর্যার পাশাপাশি আর নানান বিষয়ে সবসময় দৃষ্টি রাখতে হয় জানান,তরুণ কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্য বলছে,চলতি মৌসুমে নলডাঙ্গা উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের লাউ চাষ হয়েছে। যার গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ২৮ থেকে ৩০ মেট্রিক টন।
নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকতা সাজ্জাদ হোসেন বলেন,নলডাঙ্গায় অন্তত ১২ থেকে ১৩ শ জন কৃষক মিশ্র পদ্ধতিতে শাক-সবজির চাষাবাদ করছেন। চলতি মৌসুমে নলডাঙ্গা উপজেলায় ৫৪০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক,আব্দুল ওয়াদুদ বলেন,কৃষি বিভাগ থেকে কম খরচে উচ্চমূল্যের ফসল চাষাবাদে তরুণ,যুবক কৃষকদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি সহযোগীতা করা হচ্ছে।
ফজলে রাব্বী, নলডাঙ্গা, নাটোর।
আরো পড়ুন : ১৯৬৯ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ‘যদি ১৭ কোটি’ হয় তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৫৫ কোটি