নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শনির আখড়ায় বাসার শৌচাগারে বিস্ফোরণে দগ্ধ স্কুলছাত্রী মৌমিতা আক্তার (১৩) মারা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সে শনির আখড়ায় শেরেবাংলা আইডিয়াল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মৌমিতা মা-বাবার সঙ্গে শনির আখড়ার ১ নম্বর সড়কের একটি টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকত। গত রোববার রাত পৌনে একটার দিকে হঠাৎ মৌমিতার চিৎকার শুনে তার মা ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। এরপর শৌচাগারে গিয়ে দেখতে পান মেয়ের সারা শরীরে আগুন জ্বলছে। পরে মৌমিতার গায়ে পানি ঢেলে আগুন নেভান তিনি। দগ্ধ মৌমিতাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
কীভাবে এই আগুন লাগে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে দগ্ধ অবস্থায় মৌমিতা তার মাকে জানিয়েছিল, শৌচাগারে ঢুকে বাতির সুইচ চাপতেই হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। পরে তার শরীরে আগুন ধরে যায়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন জানিয়েছেন, মৌমিতার শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
মেয়ের মৃত্যুর পর মৌমিতার বাবা জাকির হোসেন হাসপাতালে বসে বিলাপ করে বলেন, ‘বাথরুমে হয়তো কোনোভাবে গ্যাস জমে ছিল। বৈদ্যুতিক সুইচ দিতেই স্পার্ক হয়ে গ্যাসের সংস্পর্শে আগুন ধরে যায়।’
আরো পড়ুন : এডিস মশার উপস্থিতি ঢাকার ৪ ভাগ বাড়িতে