পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : শপথ নিয়েই চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রকোনা-৫ পূর্বধলার সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন। শপথ নেওয়ার পর পরই নিজে অফিসার ইনচার্জকে ফোনে এ নির্দেশ দেন আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।
জানা গেছে, পূর্বধলার প্রায় ১ শতাধিক স্ট্যান্ডে বিগত ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন জনের নাম ভাঙিয়ে ইজারার নামে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করতো।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আহমদ হোসেন ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে নেত্রকোনা-৫ পূর্বধলা উপজেলার সব প্রকার চাঁদা আদায় বন্ধ করা হবে। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর বুধবার সকালে শপথ নেন। এরপর পূর্বধলার সব প্রকার স্ট্যান্ডে অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যানে জিপির নামে চাঁদা আদায় বন্ধের ঘোষণা দেন।
স্থানীয়রা জানায়, স্ট্যান্ডের চাঁদাবাজির কারণে অনেকটাই অতিষ্ঠ ছিল খেটে খাওয়া ক্ষুদ্র যানবাহনের চালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। এদিকে চাঁদার কারণে বেড়ে যায় ভাড়াও। তাই যাত্রী ও চালক উভয়েই ছিলেন বিপাকে।
স্থানীয় চালকরা বলেন, দৈনিক, মাসিক ও বার্ষিক বিভিন্ন হারে আমাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করত। বিচার দেওয়ার জায়গাও ছিল না। প্রতিবাদ করলে মারধর করত। এখন ভালো লাগছে। আজ থেকে কোনো জিপি নেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে জানতে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি পূর্বধলার মানুষকে নির্বাচনের আগে কথা দিয়েছিলাম কোনো চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার সুযোগ দেওয়া হবে না। পূর্বধলায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি থাকবে না। আমি ইতিমধ্যে ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি। পূর্বধলার মানুষ আমার প্রতি যে বিশ্বাস রেখেছে আমি সেটা পূরণ করার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।
আরো পড়ুন : হালখাতা করেও দিন শেষে ধারের অর্ধেক টাকা তুলতে পারলেন না শিক্ষক