শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিনগত রাত্রি কে শবে বরাত বলা হয়। শাবানের ১৪ তারিখ মাগরিবের পর থেকে ছোব্’হে কাজেব পর্য্যন্ত শবে বরাত নামাজের সময় থাকে। এই রাতে নফল নামাজ,,কোরআন তেলাওয়াত,, যিকির,, দোয়া-দরুদ শরীফ,,ইস্তিগ্’ফার,,তাহাজ্জুদ নামাজ ইত্যাদি নফল ইবাদতের মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ থাকলে বেশুমার সিয়াব পাওয়া যায় এবং সমস্ত গুনাহ্ মাফ হয়।
শবে বরাত এবং শবে ক্বদরের রাতে মাগরিব নামাজের পর ইবাদতের উদ্দেশ্যে গোসল করা মোস্তাহাব।
নামাজের রাকাত এবং নিয়মঃ = শবে বরাত এর নামাজ ২ রাকাত করে আদায় করতে হবে। প্রতি ২ রাকাত নামাজ শেষে মুনাজাত করা উত্তম। শবে বরাত নামাজের নির্দিষ্ট রাকাত উল্লেখ নাই। যত বেশি নফল নামাজ আদায় করা যায়। তত বেশি উত্তম।
নামাজের নিয়তঃ = ❝নাওয়াইতুয়ান্ উছাল্লিয়া লিল্লাহে তায়ালা রাক্’য়াতাই ছালাতে লাইলাতিল্ বারাআতে মোতাওয়াজ্জিহান্ ইলা জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতে,, আল্লাহু আকবার।❞
বাংলায় নিয়তঃ = ❝হে আল্লাহ! আমি কেবলা মুখি হয়ে,, শবে বরাত এর দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতেছি,,আল্লাহু আকবার।❞
[কেও আরবি নিয়ত না পাড়লে,,বাংলায় নিয়ত করলেও হবে।]
পবিত্র শাবান মাসের ১৩,,১৪,,১৫ তারিখে রোজা রাখার জন্য হাদিসে বলা হয়েছে। শবে বরাতের উছিলায় ৩ টা রোজা রাখতে হবে।
রাসূল (ﷺ) বলেন,,
আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।
{ সুনানে ইবনে মাজাহ্:–১৩৯০ }
রাসূল (ﷺ) বলেন,,
যখন মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা এ রাতে দাঁড়িয়ে সালাত (নামাজ) পড়ো এবং এর দিনে সওম রাখো। কেননা এ দিন সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর আল্লাহ পৃথিবীর নিকটতম আকাশে নেমে আসেন এবং বলেনঃ কে আছো আমার নিকট ক্ষমাপ্রার্থী, আমি তাকে ক্ষমা করবো। কে আছো রিযিকপ্রার্থী, আমি তাকে রিযিক দান করবো। কে আছো রোগমুক্তি প্রার্থনাকারী, আমি তাকে নিরাময় দান করবো। কে আছো এই প্রার্থনাকারী। ফজরের সময় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত (তিনি এভাবে আহবান করেন)।
{ সুনানে ইবনে মাজাহ্:–১৩৮৮ }
রাসূল (ﷺ) বললে,,
আল্লাহ্ তা’আলা মধ্য শা’বানে (১৫ তারিখের রাতে) দুনিয়ার কাছের আকাশে অবতীর্ণ হন। তারপর কালব গোত্রের বকরী পালের লোমের চেয়েও বেশী সংখ্যক লোককে তিনি মাফ করে দেন।
{ সুনানে আত-তিরমিজিঃ–৭৩৯,,,সুনানে ইনবে মাজাহ্ঃ–১৩৮৯ }
সম্পাদনা- রাশিদা ওবাইদ নিতু
আরো পড়ুন : সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণের ঘটনায় একে অন্যকে দোষারোপ আ.লীগ-বিএনপির