শাবির ২’শ ৩২ একর জায়গায় চাষাবাদ ও বনায়ন কার্যক্রম

কৃষি প্রচ্ছদ শিক্ষা হ্যালোআড্ডা

সিলেট অফিস: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ২’শ ৩২ একর জমিতে চাষাবাদ ও বনায়নের কার্যক্রম শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ^বিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শাবির মোট আয়তন ৩’শ ২০ একর। এর মধ্যে ১’শ ১২ একর চাষযোগ্য জমি রয়েছে। এসব জমি করোনা মহামারির কারণে কয়েক বছর পতিত থাকলেও চলতি বছর থেকে ফের আবাদ শুরু হয়েছে।

এ ছাড়া ১’শ ২০ একর এলাকায় রয়েছে ছোট ছোট টিলা। এসব টিলায়ও বনায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাকি জায়গায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক স্থাপনা, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ার্টার, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল, খেলার মাঠ, লেক ইত্যাদি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার তথ্যমতে, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রায় ৪ বছর চাষযোগ্য জমিগুলো পতিত অবস্থায় ছিল। এসব জমি পতিত থাকার একটি বড় কারণ হচ্ছে মহামারী করোনা। তবে চাষাবাদের উদ্দেশ্যে গত ১৪ এপ্রিল টেন্ডারের মাধ্যমে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৫শ’ টাকায় এক বছরের জন্য স্থানীয় লোকজনের কাছে পতিত জমিগুলো ইজারা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এসব জমিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্রেও সমৃদ্ধি আসবে এবং অতিথি পাখিদের আনাগোনা বাড়বে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার পরিচালক এবং বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. রুমেল আহমেদ জানান, পতিত জমি ইজারা দেওয়ায় স্থানীয় লোকদের কর্মসংস্থানের একটি সুযোগ তৈরি হচ্ছে। ইজারার অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। এছাড়া টিলাগুলোতে বনায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বন বিভাগের সহায়তায় গত কয়েক বছরে প্রায় ৭০ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরে আরও ১৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করা হবে। এসব বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে আমলকী, হরিতকি, বহেরা, অর্জুন, সাজনা, মিষ্টি তেঁতুল, আম, জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি।

কাওছার আহমদ

আরো পড়ুন : সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ৫ গাড়ির সংঘর্ষ, একজনের মৃত্যু

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *