শামসুজ্জামানকে তুলে নিতে হয় না, ওকে ডাকলে ও নিজেই গিয়ে হাজির হতো: শামসুজ্জামানের মা 

আইন-আদালত তথ্য-প্রযুক্তি নারী পুরুষ প্রচ্ছদ মুক্তমত লাইফ স্টাইল হ্যালোআড্ডা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘আমার দুই ছেলে। এক ছেলে (হোলি আর্টিজানের জঙ্গি হামলায় নিহত পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল করিম) এই দেশের জন্য জীবন দিয়েছে। আরেক ছেলে শামসুজ্জামান। আমার ছেলে শামসুজ্জামান সাহসী। রাতের আঁধারে ওকে তুলে নিতে হয় না। ওকে ডাকলে ও নিজেই গিয়ে হাজির হতো।’

সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান কারামুক্তি পেয়ে গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার ধামরাইয়ে তাঁর মামার বাসায় যান। এ সময় তাঁর মা করিমন নেসা উপস্থিত সবার সামনে এসব কথা বলেন।

গতকাল সন্ধ্যায় কারামুক্তির পর প্রথমে শামসুজ্জামান তাঁর কর্মস্থল প্রথম আলো কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে ধামরাইয়ের ডাউটিয়া এলাকায় তাঁর মামার বাসায় থাকা মায়ের কাছে ফেরেন তিনি। এ সময় শামসুজ্জামানের আত্মীয়স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশী এবং সাভারে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। সবার সঙ্গে হাসিমুখে কুশল বিনিময় করেন তিনি।

তুলে নেওয়ার ছয় দিনের মাথায় গতকাল দুপুরের পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় জামিন পান শামসুজ্জামান। সন্ধ্যা ছয়টার পর কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

মায়ের কাছে ফেরার সময় শামসুজ্জামানের সঙ্গে প্রথম আলোর বিশাল বাংলা বিভাগের প্রধান তুহিন সাইফুল্লাহ এবং হেড অব অ্যাডমিন উৎপল কুমার চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা শামসুজ্জামানের মা করিমন নেসার সঙ্গে কথা বলেন।

তুহিন সাইফুল্লাহ বলেন, ‘শামসুজ্জামান সব সময় সত্যের পক্ষে ছিলেন। তিনি সত্যের পক্ষেই থাকবেন। তাঁর এই পথচলায় প্রথম আলো সব সময় সঙ্গে থাকবে, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান তাঁর সঙ্গে থাকবেন।’ শামসুজ্জামানের মাকে সত্যের এই পথচলায় সাহস জোগানোর অনুরোধ জানান তিনি। এ সময় শামসুজ্জামানের মা করিমন নেসা বলেন, ‘আমার ছেলে সব সময় সত্যের পক্ষে ছিলেন। সে সত্যের পক্ষেই থাকবে। এই সত্যের পথচলার ক্ষেত্রে আমার দোয়া তাঁর সঙ্গে থাকবে সব সময়।’

শামসুজ্জামান বলেন, ‘সারা দেশের সাংবাদিক, আমার কর্মরত প্রতিষ্ঠান প্রথম আলোর সহকর্মী, বন্ধু, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীসহ অনুজ-অগ্রজেরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশের মানুষ আমার জন্য আন্দোলন–সংগ্রাম করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমার সঙ্গে আন্তরিক আচরণ করেছেন বলেই আজ আমি মায়ের কাছে ফিরতে পেরেছি। সরকারও আমার প্রতি ইতিবাচক ছিল।’ সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

আরো প ড়ুন : গোমস্তাপুরে ভেজাল কীটনাশক বীজ বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ীকে দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *