ইউক্রেন শিগগিরই ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দিতে পারছে না-গত সপ্তাহে এ ঘোষণা এসেছে। এবার পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়েও একধরনের বার্তা এল। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, শিগগিরই ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পথ ইউক্রেনের জন্য খোলা নেই। আজ বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি। খবর বিবিসির
এ সময় বরিস আরও বলেন, ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিতে হবে।
ইউক্রেনে রুশ অভিযানের মূল কারণ ন্যাটো। দীর্ঘ সময় ধরে জোটটিতে যোগ দিতে তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছিল কিয়েভ। তবে এ নিয়ে আপত্তি ছিল মস্কোর। দেশটির ভাষ্য, ইউক্রেন ন্যাটো সদস্য হলে, তা হবে রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকির।
এর আগে গত মঙ্গলবার ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরে শুনে আসছি, (ন্যাটোর) দরজা খোলা আছে। তবে এটাও শুনেছি যে আমরা ওই দরজগুলো দিয়ে ঢুকতে পারব না।’
আবুধাবিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আবার কথা বলেছেন এবং ন্যাটো নিয়ে তাঁর ভাষ্য বুঝতে পেরেছেন। এ সময় রাশিয়ার অভিযানের দিকে ইঙ্গিত করে বরিস জনসন বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘বর্বর’ হামলা বন্ধ করতে হবে।
এদিকে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, তখন কিয়েভ সফর করেছেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি, চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্র ফিয়ালা ও স্লোভেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানেজ জানসা। গতকালই ইউক্রেন সফর করেছেন তাঁরা। তিনটি দেশই ন্যাটোর সদস্য।