গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকে। বেড়েছে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজণিত রোগ। শিশুসহ বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আক্রান্ত হয়ে তাঁরাই ভর্তি হচ্ছেন। অনেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন। গতকাল সোমবার বেলা এগারোটার দিকে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে জরুরি ও বহির্বিভাগে লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক রোগীকে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। ডায়রিয়া,জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া,অ্যাজমা, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহের রোগীর সংখ্যা বেশি। এদিকে ভাইরাসজণিত এই রোগের আক্রান্ত রোগীদের নানা পরামর্শ দিতে দেখা গেছে চিকিৎসকদের। গতকাল সোমবার ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজণিত ৩৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হামিদ জানিয়েছেন। এছাড়া চৌডালা এলাকার ভর্তিকৃত এক শিশু মা ইসমোতারা বলেন, দুইদিন থেকে হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে আছি। তাঁর মেয়ে ঠান্ডা লেগে ডায়েরি হয়েছিল। তাঁর শরীরের অবস্থা ভাল ছিল না। ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসা নিয়ে মোটামুটি এখন ভাল আছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরবে বলে তিনি জানান।
গোমস্তাপুর ইউনিয়নের আরেক শিশুর মা সাবিনা বলেন, তাঁর শিশু সন্তানকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছি। শ্বাস কষ্টসহ পাতলা পায়খানা হচ্ছিল। চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। এখন ধীরে ধীরে সে সুস্থ হয়ে উঠছে।
বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধ আনসারুল ইসলাম বলেন কয়েকদিন থেকে শীত বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁর ঠান্ডা লেগেছে। হঠাৎ তাঁর পেটের সমস্যা দেখা দেয়। সকাল থেকে তাঁর পাঁচ ছয়বার পায়খানা হয়েছে। সাথে তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন লিংকন বলেন, ঠান্ডাতে ভাইরাস জণিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বৃদ্ধরা। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে আক্রান্ত রোগীরা। তবে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি। ভর্তিকৃত রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
পরিস্কার পরিছন্ন, গরম পোশাক পরিধানসহ স্বাস্থ্য সচেতনতা অবলম্বন থাকতে বলেন।
গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বলেন, শীতকালীন সময়ে ভাইরাসজণিত আক্রান্ত ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগে গোমস্তাপুর উপজেলায় সোমবার ৩৪ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ১৪ জন ডায়রিয়া, পেটের পীড়া ১ জন, ৯ জন শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা ৫ জন, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ ৪ জন রয়েছে। এছাড়া জরুরি ও বহির্বিভাগে শীতকালীন সময়ে প্রতিদিন বিভিন্ন রোগের চারশোজন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীদের স্বাস্থ্য শিক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আতিকুল ইসলাম আজম
আরো পড়ুন : মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই দ্রুত ভোগ্যপণ্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর