গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে আবারো হাইওয়ে পরিবহণের চলন্ত মিনিবাস থেকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে পথচারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চালক ও সহকারীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার রঙ্গিল বাজার নামক এলাকায় শহিদুল ইসলাম নামের একজনকে চলন্ত বাস থেকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় বাসের সহকারীকে (হেলপার) উপস্থিত জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
নিহত শহিদুল ইসলাম (৬৫) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে। তাকওয়া পরিবহণের চাপায় তার স্ত্রী সাহেরা খাতুন (৫৫) মুমূর্ষু অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার নিহত শহিদুল ইসলাম স্ত্রীসহ তার অসুস্থ ভায়রাকে দেখতে মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায় বেড়াতে যান। বিকালে বাড়ি ফেরার পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় মাওনা চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহগামী তাজ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মিনিবাস শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সাহেরা খাতুনকে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত করে।
তিনি বলেন, স্ত্রী আহতের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শহিদুল ইসলাম চালকের সঙ্গে কথাকাটাকাটি করতে করতে মিনিবাসে গিয়ে উঠে। মিনিবাসটি দ্রুত চালাতে শুরু করে চালক। কিছুদূর যাওয়ার পর শহিদুল ইসলামকে গাড়ি থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয় মিনিবাসের হেলপার। এ সময় বাস থেকে পড়ে যাওয়ার সময় শহিদুল ইসলামের পড়নের লুঙ্গি গাড়ির একটি হুকের সঙ্গে আটকে যায়। ওই অবস্থায় তাকে টেনে হিঁচড়ে কিছু পথ নিয়ে গেলে শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে হাইওয়ে মিনিবাসের চাপায় গুরুতর আহত সাহেরা খাতুনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় বাসের চালকের সহকারী (হেলপার) ময়মনসিংহ জেলার শম্ভুগঞ্জ এলাকার সুমন মিয়ার ছেলে মো. হৃদয়কে (১৮) উপস্থিত জনতা আটক করে মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি কংকন কুমার বিশ্বাস বলেন, হাইওয়ে মিনি পরিবহণের তাজ এন্টারপ্রাইজ বাসের হেলপারকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরো পড়ুন : মানবাধিকার যাচাইয়ের মাধ্যমে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ