বিশেষ প্রতিনিধি : স্বৈরাচার সরকারের পতন আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের পাশে সাধ্যমতো সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিগত আন্দোলনে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক বহু মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। সেই সব শহীদ পরিবার এবং আহতদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভার্চুয়াল বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান তিনি। এ সময় তারেক রহমান বলেন, ভবিষ্যতে বিএনপি জনসমর্থন নিয়ে সরকারে গেলে প্রত্যেক শহীদের স্মৃতি রক্ষণার্থে তাদের নামে কোনো না কোনো জায়গায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হবে। শহরে বা গ্রামে রাস্তাঘাট বা অন্য কোনো স্থাপনার নামকরণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
তারেক রহমান আরো বলেন, একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ পরিবারকে পুনর্বাসনসহ যারা পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তারা যাতে নিজেরাই স্বনির্ভর হয়ে কিছু একটা করতে পারেন, অপরের বোঝা যাতে না হন, সেই ব্যবস্থা করা হবে। আমরা বিএনপি পরিবার-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও অর্থবিষয়ক সম্পাদক এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত। আহতদের মধ্যেও কয়েকজন বক্তব্য রাখেন।
জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ব্যক্তি হিসেবে সমাজের প্রতিটি মানুষকে আহ্বান করব সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য। আমরা রাজনৈতিক কর্মীর পাশাপাশি একেকজন মানুষ। মানুষ হিসেবে যখন পাশের কাউকে আমরা বিপদগ্রস্ত অবস্থায় দেখি তখন এগিয়ে আসা উচিত। আল্লাহর প্রতিটি সৃষ্টির পাশে দাঁড়ানো উচিত। কোনো পশুপাখিকেও আঘাত করা উচিত নয়।
তারেক রহমান বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপির বহু নেতা-কর্মী আত্মাহুতি দিয়েছেন। জুলাই-আগস্টেও বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রাণ দিয়েছেন। ভবিষ্যতে বিএনপি জনসমর্থন নিয়ে যদি সরকার গঠন করতে পারে তবে বিভিন্ন স্থানে শহীদদের নামে স্থান বা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি ইনশা-আল্লাহ আগামীতে সরকারে গেলে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেসব পরিবারে এ ধরনের পঙ্গু মানুষ আছেন তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হবে। বাংলাদেশের মানুষকে বলতে চাই, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন, সংগঠন জরুরি নয়। ব্যক্তিগতভাবেই যে যাকে পারেন সহযোগিতা করুন।