মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা: রাজধানী ঢাকার মাত্র ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সংযুক্ত সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া-পাথরঘাট-রামকৃষ্ণদী-সিরাজদিখান সড়কের ৪ কিলোমিটার সড়কের বর্তমানে অত্যন্ত করুণ, হেঁটে চলাই অসম্ভব হয়ে পড়ে। আবার অনেক স্থানে বৃষ্টিতে হাঁটুপানি জমে। এমন স্থানে দুর্ঘটনা প্রায় লেগেই থাকে। এটি সড়ক নয় যেন মরন ফাঁদ।
এলজিইডি বিভাগের ৯ কিলোমিটারব্যাপী এ সড়ক দিয়ে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের ১৭ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের রাজধানী ঢাকাসহ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র পথ। বিশেষ করে এলাকাটি রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী হওয়ায় এলাকার হাজার হাজার লোক প্রতিদিন নানা কাজে চলাচল করে। অথচ সড়কটির এমন দশায় এলাকাবাসী দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সড়কে জমে থাকা পানির নিচে খানাখন্দে পড়ে পোশাক ভিজিয়ে শিক্ষার্থীসহ অনেককেই বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। এই সড়কের পাশে একটি কলেজ, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি কমিউনিটি হাসপাতালসহ কয়েকটি মাদ্রাসা, বাজার ও এনজিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা আশ্বাস দেন সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে নজর দেবেন কিন্তু নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর খবর রাখেন না।
এ ব্যাপারে কুচিয়ামোড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম সর্দার জানান, ‘আমার স্কুলে ও পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী এই সড়কে যাতায়াত করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সড়ক খারাপ হওয়ায় আসতে পারে না। বর্তমানে যে অবস্থা হয়েছে অটোরিকশায়ও আসা সম্ভব নয়।’
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা এলজিইডি বিভাগের প্রকৌশলী মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। এর অনেক জায়গায় দুই পাশে বাড়ি থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তবে সড়কটি প্রশস্ত করা হবে। তাই বড় প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছি।’
আরো পড়ুন : সালমান শাহ’র তুলনা কেবল তিনি নিজেই-নিরব