রাজনীতির মাঠে বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক তাঁদের। নানা বিষয়েই মতপার্থক্য আছে। সেই বিরোধ ও মতপার্থক্য কখনো কখনো সংঘাতেও গড়িয়েছে। নানা মেরুর এই ব্যক্তিরা জাতীয় রাজনীতিতে বিভিন্ন দলের অনুসারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রনেতা। বিরোধ সত্ত্বেও তাঁরা একসঙ্গে অংশ নিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায়।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়ায় ‘বৈশ্বিক পরিবর্তন ও উচ্চশিক্ষার ধারা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে সাংবাদিক সমিতি। পরে সন্ধ্যায় ছিল ইফতারের আয়োজন।
আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল ও বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের শীর্ষ নেতা, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা সাংবাদিক সমিতির এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির সদস্য এম তারিক আহসান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘আমি সাংবাদিক সমিতিকে তাদের এ ধরনের আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাই। তারা প্রতিবছর সুন্দর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে এবং একই সঙ্গে সব ছাত্রসংগঠনকে একত্র করে। এ ধরনের পরিবেশ যদি সব সময় বিরাজ করত, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ আরও অনেক সুন্দর হতো।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মামুন তুষারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ এস এম মাকসুদ কামাল, নীল দলের নেতা ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা এবং সাদা দলের আহ্বায়ক ও সিনেট সদস্য লুৎফর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
আরো পড়ুন : ১৯৬০ সালের পরে ঢাকায় ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা