নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন কিডনি ডায়ালিসিস দুই ঘণ্টা করে বন্ধ রাখা হবে।
সরকারের কাছে বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে ডায়ালিসিস কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ভারতীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্যানডোর মেডিকেডস প্রাইভেট লিমিটেড এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটে নিয়োজিত স্যানডোরের ব্যবস্থাপক নিয়াজ খান বলেন, বকেয়া টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত এভাবে প্রতিদিন আংশিক বন্ধ থাকবে ডায়ালিসিস।
নিয়াজ খান বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রামে রবিবার সাড়ে চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল। গতকাল বন্ধ রাখা হয় আড়াই ঘণ্টা। আমাদের বকেয়া টাকা যত দিন পর্যন্ত না দেয়, তত দিন এভাবে চলবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে আমাদের বকেয়া ৩১ কোটি টাকা। এখন আমাদের মালপত্র কেনার মতো টাকা নেই। স্যানডোরের পক্ষ থেকে আজ (গতকাল) মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন কর্মকর্তারা। সেখানে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, জানি না।’
জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আকতারুজ্জামান বলেন, রোগীদের কোনো সমস্যা হয়নি। তবে সকাল ৮টার জায়গায় সাড়ে ১০টায় ডায়ালিসিস শুরু হয়। এর কারণ হিসেবে স্যানডোরের কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের মালপত্র সংকট চলছে।
টাঙ্গাইল থেকে ডায়ালিসিস নিতে আসা রোগী রুবেল হোসেনের স্ত্রী রূপা জানান, দেরি হলেও তাঁর স্বামীর ডায়ালিসিসে সমস্যা হয়নি।
২০১৭ সালে জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডায়ালিসিস সেন্টার স্থাপনে স্যানডোরের সঙ্গে একটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তি করে।
জানা গেছে, প্রতিটি ডায়ালিসিসকে একটা সংখ্যা বা সেশন হিসেবে ধরা হয়। সাধারণভাবে একজন রোগীর আটবার ডায়লিসিস করতে হয়। ঢাকার ৫৯ ডায়ালিসিস মেশিনে বছরে ৪০ হাজারের বেশি সেশন হয়। চট্টগ্রামে ৩১ মেশিনে ডায়ালিসিস হচ্ছে ৩০ হাজার।
চুক্তি অনুযায়ী, কম্পানিটি প্রতিবছর দুটি কেন্দ্রে মোট ১৯ হাজার ডায়ালিসিসের সেশন ঢাকায় ১২ হাজার ৫০০ ও চট্টগ্রামে ছয় হাজার ৫০০ পরিচালনা করার কথা।
স্যানডোরের কর্মকর্তারা জানান, এ মাস থেকে প্রথম চার সেশনের প্রতিটির জন্য ২,৯৩৫ টাকা ও পরের চার সেশনের প্রতিটির জন্য ৫৩৫ টাকা দিতে হবে।
আরো পড়ুন : আজ ২৪ জানুয়ারি, ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস