শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে: দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সিনিয়র সাংবাদিক আজহার মাহমুদকে জেল-হাজতে নিয়েছে আদালত।
তিনি বর্তমানে,দিনাজপুর জেলা কারাগারে রয়েছেন।
দিনাজপুর হাজী,মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর হারুন-উর রশীদ ২০১৯ সালে সাংবাদিক আজহার মাহমুদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।
আজহার মাহমুদ ওই মামলায় হাজিরা দিতে মঙ্গলবার রংপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁকে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এদিকে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) কাউন্সিলর, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সিনিয়র সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজহার মাহমুদকে এই বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দীর ঘটনায় নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ। তারা অনতিবিলম্বে আজহার মাহমুদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানিয়েছেন।
২০১৯ সালে
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিএফইউজের সভাপতি এম. আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন এবং ডিইউজে সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো: শহীদুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, একটি সংবাদের প্রেক্ষিতে দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। আজহার মাহমুদ মঙ্গলবার ওই মামলায় রংপুর আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। আজহার মাহমুদ বতর্মানে দিনাজপুর কারাগারে বন্দী।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের শুরু থেকে সাংবাদিক সমাজ আশঙ্কার কথা প্রকাশ করে এ কালো আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিল। সরকারের পক্ষ থেকে আইনটি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা রক্ষার কোনো আলামত নেই। বরং সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যথেচ্ছভাবে এ নিপীড়নমূলক আইন ব্যবহার হচ্ছে। যার সর্বশেষ শিকার সাংবাদিক আজহার মাহমুদ।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে আজহার মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে তার নিঃশর্ত মুক্তি এবং সকল কালো আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।