নিজস্ব প্রতিবেদক : সাইবার নিরাপত্তা আইন জাতীয় সংসদে পাসের আগে অবশ্যই অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অংশীজনদের ডেকে আলাপ-আলোচনা করা হবে। সেটা হবে, আপনারা আমরা কাছ থেকে জানতে পারবেন। আলোচনার কথার যে কথা, সেটা আলোচনা করা হবে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।
সরকার বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন করছে। গত ৭ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। গত সোমবার ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিলটা সংসদে যাবে। সেপ্টেম্বর মাসের ৩ তারিখে সংসদ ডাকা হয়েছে। আইনটি যাতে সংসদে যেতে পারে, সে জন্য আইনটির বিষয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।
৯ আগস্ট আইনটির খসড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে অংশীজনদের মতামত চাওয়া হয়।
এ জন্য সময় ছিল ১৪ দিন। প্রায় ৫০০টি মতামত জমা পড়ে। এসব মতামতের মধ্যে বেশির ভাগ প্রস্তাব ছিল ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রতিকারের ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় এসব মতামতকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কোনো প্রতিকার নেই এ আইনে।
এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ১০ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, আইনটি প্রণয়নের আগে এসংক্রান্ত অংশীজনের সঙ্গে কথা বলা হবে। কিন্তু কারো সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি বলে জানা গেছে।
প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া নিয়ে অংশীজন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ ছিল, আইনে সাজা কিছু কমানো ও ধারা জামিনযোগ্য করা ছাড়া বিষয়বস্তুতে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। এতে মানুষের হয়রানি কমবে না। এ আইনের সবচেয়ে বেশি সমালোচনা ছিল বিচারের আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আটক রাখা নিয়ে। কারণ বিনা দোষে কারাগারে থাকার পরও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আইনে প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা নেই।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা বলবেন আপনি বলেছিলেন অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ করবেন। সাইবার নিরাপত্তা আইন চূড়ান্ত করেছেন কিন্তু অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ না করে? এখন আমার কথা হচ্ছে যে আপনাদের আমি কিন্তু বলেছি আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করব। আর সেপ্টেম্বরে সংসদ অধিবেশন ডাকা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আইসিটি বিভাগ যে ১৪ দিন সময় দিয়েছিল সেই ১৪ দিন সময়ের মধ্যে যেসব অবজেকশন আছে সেসব বক্তব্য একসঙ্গে জড়ো করে আমরা সব কিছু সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে উপস্থাপন করব। যারা এখানে তাদের বক্তব্য জানাতে চাচ্ছেন তাদের স্থায়ী কমিটির সামনে গতবারের মতো বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ আমরা করে দেব।’
আরো পড়ুন : ১৩ জনসহ চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫৬৯, হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৯১৩৩জন