সাড়ে তিন মাস পর কারামুক্ত হয়ে যা বললেন ফখরুল

আইন-আদালত জনপ্রতিনিধি তথ্য-প্রযুক্তি পুরুষ প্রচ্ছদ মুক্তমত রাজনীতি হ্যালোআড্ডা

স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ সাড়ে ৩ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল বিকালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপি’র এই দুই শীর্ষ নেতা। প্রথমে মির্জা ফখরুল এবং ৪ মিনিট পরে আমীর খসরু ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে বাইরে আসেন। এ সময় উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে তাদের নেতাদের বরণ করেন। কর্মীরা নেতাদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। নেতাকর্মীদের হাত তুলে অভিবাদন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। ইনশাআল্লাহ এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবে। গণতন্ত্র ফেরানো চলমান আন্দোলন বিজয় না হওয়া পর্যন্ত চলবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে গণতন্ত্রের পক্ষে রায় দিয়েছে। সেই রায় যতদিন না বাস্তবায়ন হবে, ততদিন বাংলাদেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে তাইফুল ইসলাম টিপু, শামীমুর রহমান শামীম, নিপুণ রায় চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, ইসরাফিল খসরু চৌধুরী, শায়রুল কবির খানসহ অঙ্গসংগঠনের কয়েকশ’ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মহাসচিবের গাড়িকে ছাত্রদলের নেতাকর্মী মোটরবাইকে কর্ডন করে ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হয়।

কারাগারে মুক্তির সময় বিএনপি মহাসচিবকে আনতে তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কারামুক্তির পর মির্জা ফখরুল গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান। কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। পরে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাতসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। গত ২৯শে অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে এবং ২রা নভেম্বর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের তাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ২৮শে অক্টোবর বিএনপি’র মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি এবং খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনাটি ছাড়া সব মামলায় তারা বিভিন্ন সময়ে জামিন পান। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনার মামলায় বিএনপি এই দুই শীর্ষ নেতার জামিন মঞ্জুর করেন। গতকাল সকালে দুই নেতারআইনজীবীরা বিভিন্ন মামলার জামিন আদেশ, প্রোডাকশন ওয়ারেন্টসমূহ প্রত্যাহারের আদেশসমূহ সব ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়ার পর বিকালে মুক্তি পেলেন বিএনপি’র দুই শীর্ষনেতা।

এদিকে দীর্ঘ ৪ মাস পর জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক ও দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ই অক্টোবর রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

আরো পড়ুন : প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ১৫ নির্দেশনা বাস্তবায়নই এখন সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *