সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার ছেলে শাফি মোদাচ্ছিরসহ তাদের ঘনিষ্ঠ আট জনের বেশ কয়েকটি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য নিশ্চিত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফলে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সব ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইউ) চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থায় এদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কামাল ও তার ঘনিষ্ঠজনদের সন্দেহজনক ব্যাংক লেনদেন নিশ্চিত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্তত ১৫ কর্মকর্তার ওপর নজরদারি করছে দুদক। অন্যদিকে পৃথকভাবে আলোচিত পলাতক পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, ডিআইজি মোল্লা নজরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাবেক পিএস অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. হারুন অর রশীদ বিশ্বাস, এপিএস মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে শাফি মোদাচ্ছির খানের বেশকিছু ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পায় দুদক।
এরপর দুদক মঙ্গলবার এদের নামে থাকা সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা হিসাবের বিস্তারিত বিবরণী চেয়ে বিএফআইইউকে চিঠি পাঠায়। একই সঙ্গে আসাদুজ্জামান খান কামালসহ অন্যদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর পাঠানো হয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে যেসব পাসপোর্ট করা হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণী জরুরিভিত্তিতে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিকে দুদকের দুদকের পৃথক টিম প্রাথমিক অনুসন্ধানে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের বিপুল সম্পদের তথ্য পেয়েছে। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করতে দেশের সব ভ‚মি অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তর অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে নিজ কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে তুলে নিয়ে ভাত খাওয়ানোর দৃশ্য ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রকাশ করে ব্যাপক আলোচিত হন। একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিবি অফিস হারুনের ‘ভাতের হোটেল’ হিসাবে পরিচিতি পায়।
আরো পড়ুন : ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বগুড়ায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ৮ হত্যা মামলা