সিরিজ বোমা হামলার বিচার শেষ হয়নি ১৮ বছরেও

আইন-আদালত ওকে নিউজ স্পেশাল ক্রাইম নিউজ জনদুর্ভোগ প্রচ্ছদ হ্যালোআড্ডা

জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর পরও দেশ থেকে জঙ্গি হামলার আতঙ্ক যায়নি। মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ছে জঙ্গি সদস্য। এরই মধ্যে গত বছরের শেষের দিকে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া নামে একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেফতারের পর গত ৯ আগস্ট সংগঠনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষিদ্ধ করে। এরই মধ্যে গত ১৩ আগস্ট মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পাহাড়ে ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে আরেকটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব মিলেছে। ইমাম মাহমুদের কাফেলার প্রধান নেতাসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে, অনলাইন মাধ্যমে জঙ্গিরা তাদের প্রচারণা ও দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনলাইনেই তারা জঙ্গি হামলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তারা হামলার কৌশল রপ্ত করছে।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলার (মুন্সীগঞ্জ বাদে) ৪৩৪ স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালায় জেএমবি। সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারা দেশের বিভিন্ন থানায় ১৫৯ টি মামলা দায়ের হয়। এ সব মামলায় ৬৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত শেষে ৭৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়। হামলার ১৮ বছরের মধ্যে ১১৬টি মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে।

৪৩টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ৩২২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় আদালত। গ্রেফতারকৃত আসামির মধ্যে ৩৫৮ জনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড রায় দেওয়া হয়েছে ১৫ জনকে।

ঢাকা মহানগর আদালত সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর এলাকায় বোমা হামলার ঘটনায় ঐ সময় ১৮টি মামলা দায়ের হয়। এই ১৮টি মামলায় পুলিশ ও র‍্যাব ৯১ জনকে গ্রেফতার করে। ৫৬ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশিট দেয়। অনেক মামলায় আসামিদের নাম ও ঠিকানা কিছুই নেই বা ছিল না। সাক্ষীদেরও ঠিকমত পাওয়া যায়নি। অনেক সাক্ষী সাক্ষ্য দিতেও আসেননি। বেশির ভাগ সাক্ষীর ঠিকানাও পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে ১৪টি মামলায় মাত্র ছয় জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় আদালত। বাকি চারটি মামলা বিচারাধীন পর্যায়ে আছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ঢাকার আদালতে ১৮টি মামলা ছিল। বর্তমানে চারটি মামলা বিচারাধীন আছে। সেগুলোও সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। মামলার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সাক্ষীদের অনুপস্থিতিই মূল কারণ। অনেক ক্ষেত্রে সাক্ষীদের পাওয়া যায়নি। সাক্ষীদের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। পুলিশও চেষ্টা করছে সাক্ষীদের খুঁজে বের করতে। চাঞ্চল্যকর এসব মামলা চাইলেই তো শেষ করে দেওয়া যায় না। তারপরও সাক্ষী যা হয়েছে, বা আরও কয়েকটা সাক্ষী নিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করে এ বছরের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করার চিন্তাভাবনা আছে।

আরো পড়ুন : আজ ১৭ আগস্ট: আজকের দিনে জন্ম-মৃত্যুসহ যত ঘটনা

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *