আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক। দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি নির্বাচনে যাচ্ছেন না।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দলের সিদ্ধান্তে অটল থাকার ঘোষণার পর এখন আলোচনা তার স্ত্রী শ্যামা হককে নিয়ে। নগরজুড়ে গুঞ্জন, মেয়র অনুসারীদের চাপে স্ত্রী শ্যামা হক প্রার্থী হতে পারেন।
নিজে প্রার্থী না হলে স্ত্রীর প্রার্থিতায় যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ান এমন দাবি তুলেছেন আরিফের অনুসারীরা। রেখেছেন প্রচণ্ড চাপে। চাপের মুখে থাকা মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমি দলের দায়িত্বশীল, দলকে গুরুত্ব দিতেই হয়। স্ত্রীর প্রার্থিতার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বলেন, এটা উনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। উনার ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার আমার নেই।
শনিবার সিলেটে সমাবেশস্থলে যাওয়ার প্রাক্কালে মেয়র আরিফ বলেন, তিনি (স্ত্রী) প্রার্থী হলে আমার কোনো আপত্তি নেই।
মেয়রের ঘনিষ্ঠ একজন সঙ্গী বলেন, মেয়র দলের সুতোয় বাঁধা। তিনি দলের জন্য নির্বাচন বর্জন করেছেন। তাই বলে আমরা বসে থাকতে পারি না। আমরাও বিকল্প ভাবনা রেখেছি। বিকল্প হিসাবে মেয়রের স্ত্রী শ্যামা হকের নাম উল্লেখ করে বলেন, তিনি প্রার্থী হলে মেয়র আরিফের চেয়েও বেশি ভোট পাব আমরা। কারণ বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় ৮০ হাজার ভোটব্যাংক রয়েছে শুধু (শ্যামা) ভাবির। যা প্রতিবছর আরিফের অ্যাকাউন্টে যেত।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুবার মেয়র নির্বাচিত হন আরিফুল হক চৌধুরী। ফলে গত দুই মেয়াদে বিজয়ের মুখ দেখেনি আওয়ামী লীগের নৌকা। এবার আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী করেছে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফ নির্বাচন বর্জন করায় এবার নৌকার বিজয় অনেকটা সহজ হয়ে উঠবে বলে রাজনীতিক মহলে আলোচনা চলছে। যদিও মেয়র পদে আরও ৭ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।
আরো পড়ুন : রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র