সিলেট গ্যাস ফিল্ডস দৈনিক ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করতে চায়

অর্থনীতি জাতীয় প্রচ্ছদ শিল্প প্রতিষ্ঠান হ্যালোআড্ডা

সিলেট ব্যুরো: দেশের জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন করে ১৪টি গ্যাস কূপ খনন ও পুনঃখননের কাজ শুরু করেছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে দৈনিক ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে এক বছরে তিনটি কূপ পুনঃখনন করে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানায় এসজিএফএল ।

জানা যায়, ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর আবিষ্কৃত হতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএলের আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র আছে। সেগুলো হলো হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশ টিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৩টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

এসজিএফএল সূত্র জানায়, জ্বালানিসংকট নিরসনে গ্যাসের উত্তোলন বাড়াতে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে মোট ৪৬টি গ্যাস ক‚প অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) ২০টি, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১২টি এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১৪টি কূপ খনন ও পুনঃখননের জন্য চিহ্নিত করেছে। এর অংশ হিসেবে এসজিএফএলের আওতায় সিলেটে ৮টি কূপ পুনঃখনন ও ৬টি কূপ খননের কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরে সিলেট-৮, কৈলাশ টিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ নামে তিনটি পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন করে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরো ৫টি কূপ পুনঃখননের প্রক্রিয়ায় আছে। পুনঃখননের পাশাপাশি ৬টি কূপ খনন করা হবে।

প্রতিদিনের বাংলাদেশকে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ১৪টি কূপে কাজ সম্পন্নের লক্ষ্যমাত্রা ২০২৫ সাল হলেও ২০২২ সালে তিনটি কূপের পুনঃখনন শেষ করে গ্যাস উত্তোলন চলছে। ২০২৩ সালে বেশির ভাগ কূপের কাজ সম্পন্ন করে গ্যাস উৎপাদনে যাবে। তিনি আরো বলেন, নতুন ৩টি মিলিয়ে বর্তমানে এসজিএফএলের ১৩টি কূপ গ্যাস উৎপাদনে রয়েছে। এগুলো থেকে দৈনিক ৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। চলমান কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে ২০২৫ সালে দৈনিক ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

নতুন গ্যাসের সন্ধানে ত্রিমাত্রিক জরিপের বিষয় জানিয়ে মিজানুর রহমান আরো বলেন, শুধু ১৪টি কূপ খনন ও পুনঃখননের মধ্যে আমাদের কার্যক্রম থেমে নেই। নতুন গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনায় সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকা ও আশপাশের ১ হাজার ৫৬ বর্গকিলোমিটার এলাকায় নতুন গ্যাসের সন্ধানে ত্রিমাত্রিক জরিপ চলছে। এর মধ্যে বিয়ানীবাজারের ১৯১ বর্গকিলোমিটার এলাকার একটি অংশ এবং উপজেলার বারশিয়া, ডুপিটিলা, হারারগঞ্জ ও দক্ষিণ সিলেট এলাকায় ৮৬৫ বর্গকিলোমিটারে ত্রিমাত্রিক জরিপ চালানো হচ্ছে। ৭ থেকে ৮ মাস পর এ জরিপের ফলাফল জানা যাবে।

আরো পড়ুন : ১১ ডিসেম্বর মুক্ত দিবস পালিত হলো রহনপুরে

Share The News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *