সিলেট অফিস: সিলেট-তামাবিল সড়কে সোমবার ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের পরিবহন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। রবিবার বিকেলে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মইনুল ইসলাম।
তিনি জানান, গত শুক্রবার রাতে সিলেট-তামাবিল সড়কের দরবস্ত এলাকায় এক দুর্ঘটনায় ৫ জন মারা যান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সড়কে যাত্রীবাহী বাস চলতে দেননি জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ। তাঁর এ কর্মকান্ডের প্রতিবাদে ও তাঁকে দ্রæত গ্রেফতারের দাবিতে আমরা এ কর্মবিরতির ডাক দিয়েছি। আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছে সব পরিবহন শ্রমিক সংগঠন। সব সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিকেলে আমাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ আন্দোলন।
এর আগে দূর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র শনিবার রাতে দরবস্ত বাজার মসজিদে সিলেটের বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সিলেট-তামাবিল সড়কে অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের ছাঁটাইয়ের দাবি উত্থাপন করা হয়। এবং ছাঁটাইয়ের আগ পর্যন্ত রবিবার থেকে ওই সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ জানান, সালিশ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট তামাবিল মহাসড়কে আজ কোনো ধরনের বাস-মিনিবাস চলাচল করতে পারবে না। তবে অন্য যেকোন যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলবে। কারণ দরবস্ত বাজারে বাসচাপায় ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসমালিক সমিতি বা এই রুটের পরিবহনের সঙ্গে জড়িত কেউই দুঃখ প্রকাশ করেনি। এমনকি আহত বা নিহতদের পরিবারের কোনো খোঁজখবরও নেননি তারা। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে বৃহত্তর জৈন্তাপুর ১৭ পরগণার সালিশ সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয় এবং সে বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিলেট-তামাবিল সড়কে বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বাস ও ইজিবাইকের (টমটম) সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন কয়েকজন।
কাওছার আহমদ
আরো পড়ুন : ক্ষমতার লোভে উন্মাদ বিএনপি অপপ্রচারে লিপ্ত