সিলেট অফিস: সিলেট যুবদলের দুই পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন চার নেতা। একবছর পর জেলা ও মহানগর শাখার ১৯১ সদস্যবিশিষ্ট দুই পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হাতে জমা দেওয়া হচ্ছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সাংগঠনিক কাজে ঢাকার বাইরে রয়েছেন। তিনি ঢাকায় ফিরলে এক/দু’দিনের মধ্যে দেখা করে কমিটির তালিকা জমা দেওয়া হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, প্রায় ১৯ বছর পর ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। আহ্বায়ক কমিটি গঠন হলেও সম্মেলন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। করোনা ও বন্যায় পিছিয়ে যায় সে প্রক্রিয়া। অবশেষে গত বছরের ১০ই সেপ্টেম্বর হয় সম্মেলন হয় জেলার ও ১১ই সেপ্টেম্বর মহানগর যুবদলের।
এতে জেলার সভাপতি হন অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, সাধারণ সম্পাদক হন মকসুদ আহমদ। আর নগর যুবদলের সভাপতি হন শাহ নেওয়াজ বক্ত তারেক ও সাধারণ সম্পাদক মীর্জা স¤্রাট। সম্মেলনে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতরা এক বছর পর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কাজ শুরু করেন। বিলম্বে কমিটি দেওয়ার কারণ হিসেবে নেতারা বলেন, আন্দোলন কর্মসূচি পালন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে তারা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেননি। এখন কেন্দ্রের অনুমতি নিয়ে সেই প্রক্রিয়া শেষ করে জেলা ও নগর দুই কমিটিই জমা দেওয়া হচ্ছে।
যুবদল নেতারা জানান, প্রায় ২৩ বছর পর পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটি। ফলে এবারের কমিটিতে যারা আসছেন তারা সবাই নতুন মুখ। গ্রæপিংয়ের উর্ধ্বে উঠে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদেরকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এছাড়া আহ্বায়ক কমিটির অনেক নেতাকে দেখা যাবে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে। আন্দোলনে যারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন, তাদেরকেও রাখা হচ্ছে কমিটিতে।
সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন ও সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ জানান, নানা তরফে আলোচনার পর ১৯১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে। একমিটিতে জেলা যুবদলের অধিভুক্ত ১৮ ইউনিটের নেতা, সাবেক ছাত্রদল নেতা এবং বিগত আহ্বায়ক কমিটিতে যারা ছিলেন তারা কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন। আর অবশ্যই রাজপথে পরীক্ষিত নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
নগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বক্ত তারেক ও সাধারণ সম্পাদক মীর্জা স¤্রাট জানিয়েছেন, আমাদের টার্গেট হচ্ছে সিলেট যুবদলকে কার্যকর করা, আন্দোলনে বেগবান করা। সেজন্য আমরা রাজপথের সৈনিকদের প্রাধান্য দিয়েছি।
কাওছার আহমদ
আরো পড়ুন : স্বাস্থের সকল সুখের মূল “ভেসজ সুপার ফুড”, অশ্বগন্ধা প্যাকেজ-১